অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে কর্ণফূলী ও হালদা নদীর লবণাক্ততা
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
- / ১৬৩২ বার পড়া হয়েছে
কর্ণফূলী ও হালদা নদীতে লবণাক্ততা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে, জোয়ারের সময় দৈনিক অন্তত চার ঘন্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে ওয়াসার দুটি পানি শোধনাগার। এই অবস্থা বেশি দিন চললে, পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি নদী দু’টির জীববৈচিত্র্য হুমকির পড়বে বলে আশঙ্কা নদী গবেষকদের। আর ওয়াসা বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাপ্তাই লেকের পানির অপচয় করায়, এমন অবস্থা। সহসা ভারি বৃষ্টি না হলে, সংকট আরো বাড়বে।
মিঠাপানির নদীতে জীববৈচিত্রের জন্য সহনীয় লবনাক্ততার পরিমান প্রতি লিটারে আড়াইশো থেকে সাড়ে তিনশো মিলিগ্রাম। চট্টগ্রামের কর্ণফূলী ও হালদা নদীতে সেই লবণাক্ততার পরিমান এখন ভাটার সময় সাড়ে ৭ শো মিলিগ্রাম আর জোয়ারে দুই হাজার মিলিগ্রাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পানির অভাবে কাপ্তাই লেকের সবকটি গেইট বন্ধ থাকার পাশাপাশি পাহাড়ে পানির চাপ না থাকায়, জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকে পড়ছে উজানে।
ফলে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে নদী দুটির পানি। এতে সবচেয়ে সংকটে পড়ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। কারণ এই নদীর পানি পরিশোধন করেই নগরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা মেটায় ওয়াসা। লবনাক্ততা বাড়ায় মাঝে মধ্যেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে পানি পরিশোধন।
ওয়াসার দাবি, গেলো বছরের শেষে বিদ্যুতের সংকট তৈরী হওয়ায়, চারটি টারবাইন চালিয়ে অতিরিক্ত পানি খরচ করে ফেলেছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই লেকের পানিতে টান পড়েছে। এতে হালদা ও কর্ণফূলীর পানির প্রধান উৎস বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নদী গবেষকরা বলছেন, ৩ বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমের আগে লবনাক্ততার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। যা শুধু সুপেয় পানিই নয়, হালদার মা মাছ ও কর্ণফূলীর জীব বৈচিত্রের জন্যও হুমকি। এর থেকে উত্তরণে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
দখল ও দুষণের বিরুদ্ধে নানামুখী পদক্ষেপের কারণে ২০২০ সালে ডিম উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় দেশীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা। কিন্তু এরপর থেকে লবনাক্ততার কারনে আর কাঙ্খিত ডিম আহরণ করতে পারেনি জেলেরা। ২০২১ সালে শুষ্ক মৌসুমে পানিতে লবণাক্ততার পরিমান ছিলো ৩.৬ পিপিটি। পরের বছর ছিলো ৩.৫ আর এবছর ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড