০৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পানিবন্দি ২৫ লাখ মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
  • / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পানিবন্দি ২৫ লাখ মানুষ। জকিগঞ্জে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৮০টি গ্রাম। সিলেট মহানগরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বেশিরভাগ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরজুড়ে সড়কে রিক্সার জায়গা করে নিয়েছে নৌকা। সুরমা নদীর নাব্য হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র।

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবণতি হয়েছে। একদিন বিরতী দিয়ে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন উপজেলায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট নগরীর বাসা বাড়ি এবং উপজেলার এক একটি গ্রাম যেনো দ্বীপে পরিণত হয়েছে।

বানভাসি মানুষের মাঝে সরকার ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ঘর-বাড়ি ছেড়ে আসা মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন না কেউ এমন অভিযোগ বানভাসি মানুষের।

সিলেটে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের মাত্রা বেড়েছে।

জকিগঞ্জের অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা সংযোগ স্থলে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকে ফিল্লাকান্দি, অমলশিদ, বারঠাকুরী, খাসিরচক, খাইরচক, বারোঘাট্টা, সোনাসারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় ভাঙন শুরুর পর শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বাধের ৬০ ফুট অংশ ভেঙে গেছে। এতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বল্লম ভোম দাস।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের সবক’টিই বন্যা কবলিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে স্মশানঘাটও। সিলেট সদর ও দক্ষিন সুরমার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

সিটি মেয়র মহানগরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলছেন, এটি শহরের জলাবদ্ধতা নয়, বন্যা। সুরমা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

কানাইঘাটে সুরমার পানি কিছুটা কমলেও অমলশিদে কুশিয়ারা ও সিলেট শহরের পাশে সুরমার পানি আরো বেড়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নতুন করে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ।

এমন বাস্তবতায় সিলেটের বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পানিবন্দি ২৫ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২

 

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পানিবন্দি ২৫ লাখ মানুষ। জকিগঞ্জে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৮০টি গ্রাম। সিলেট মহানগরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বেশিরভাগ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরজুড়ে সড়কে রিক্সার জায়গা করে নিয়েছে নৌকা। সুরমা নদীর নাব্য হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র।

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবণতি হয়েছে। একদিন বিরতী দিয়ে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন উপজেলায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট নগরীর বাসা বাড়ি এবং উপজেলার এক একটি গ্রাম যেনো দ্বীপে পরিণত হয়েছে।

বানভাসি মানুষের মাঝে সরকার ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ঘর-বাড়ি ছেড়ে আসা মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন না কেউ এমন অভিযোগ বানভাসি মানুষের।

সিলেটে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের মাত্রা বেড়েছে।

জকিগঞ্জের অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা সংযোগ স্থলে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকে ফিল্লাকান্দি, অমলশিদ, বারঠাকুরী, খাসিরচক, খাইরচক, বারোঘাট্টা, সোনাসারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় ভাঙন শুরুর পর শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বাধের ৬০ ফুট অংশ ভেঙে গেছে। এতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বল্লম ভোম দাস।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের সবক’টিই বন্যা কবলিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে স্মশানঘাটও। সিলেট সদর ও দক্ষিন সুরমার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

সিটি মেয়র মহানগরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলছেন, এটি শহরের জলাবদ্ধতা নয়, বন্যা। সুরমা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

কানাইঘাটে সুরমার পানি কিছুটা কমলেও অমলশিদে কুশিয়ারা ও সিলেট শহরের পাশে সুরমার পানি আরো বেড়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নতুন করে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ।

এমন বাস্তবতায় সিলেটের বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।