অবশেষে মধ্যরাতে হালদায় ডিম ছাড়ল রুই-কাতলা
- আপডেট সময় : ০২:০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
- / ১৬৫১ বার পড়া হয়েছে
সব অনিশ্চয়তার অবশান ঘটিয়ে প্রকৃতির আশির্বাদে অবশেষে দেশী মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ প্রজাতির মা-মাছ। স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ডিম আহরোণ করতে পেরে খুশি জেলেরা। নৌকায় জায়গা না হওয়ায় নদীতে ডিম ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। হালদা গবেষকরা বলছেন দখল, দূষণের হাত থেকে হালদাকে রক্ষা ও মা মাছের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় এমন সুফল এসেছে এবছর। ভবিষ্যতেও মা মাছ সুরক্ষায় কাজ করার প্রত্যয় জানান স্থানীয় ইউএনও।
মৌসুমের শেষ জো তে বহুল প্রতিক্ষিত ডিম আহরোণের উৎসবে মেতেছে হালদা পাড়ের বাসিন্দারা। তিব্র তাপদাহের সাথে অনাবৃষ্টির কারণে এবার ডিম আহরোণ নিয়েই আশংকা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রোববার বিকেলে পাহাড়ি ঢলে সে আশংকা কেটে যায়। সন্ধ্যার আগেই নদীর পানি ঘলা হয়ে উঠলে নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। ফুটেজ-১
রাত ১২ টার পর জেলেদের জাল উপচে পড়ে দেশিয় মাছের নিষিক্ত ডিমে।হালদা থেকে আহরিত ডিম এখন রেনুতে রুপান্তরের কাজ চলছে বিভিন্ন হ্যাচারি ও মাটির কুয়োই। টানা ১৮ ঘন্টা ধরে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পর সাবু দানার মতো সচ্ছ ডিমগুলো ফুটে রেনু বের হবে। ফুটেজ-২
হালদা গবেষকরা বলছেন, মৌসুমের শেষ জোতে আশীর্বাদ হয়ে আসে পাহাড়ি ঢল। আর এতেই লবনাক্ততা কমে যাওয়াসহ ডিম ছাড়ার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে হালদা। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দখল দূষণের হাত থেকে হালদাকে রক্ষা করার পাশাপাশি বছর জুড়েই মা মাছের সুরক্ষা দেয়ার সুফল পেয়েছেন তারা। ২০২০ সালে ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম আহরোণ করে রেকর্ড সৃষ্টি করে হালদাপাড়ের ডিম আহরোণ কারীরা। পড়ের ২ বছরও মা মাছের আনাগোনা বেশি থাকলেও ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব ও পানিতে লবনাক্ততার কারণে কাঙ্খিত ডিম আহরোণ করতে পারেনি জেলেরা। তবে এবার সেই আক্ষেপ মিটে গেছে সবার।