অবৈভাবে ভারত থেকে নেপালে প্রবেশের সময় ই-অরেঞ্জের অন্যতম পরিচালক আটক
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
অবৈভাবে ভারত থেকে নেপালে প্রবেশের সময় বাংলাদেশী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের অন্যতম পরিচালক- বনানী থানার এসআই শেখ সোহেল রানাকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফ। সকালে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। এদিকে, ই-অরেঞ্জের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা সোহেল রানা অস্বীকার করলেও, গ্রাহকদের অভিযোগ- প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা টিআইএন সনদেই পরিচালক হিসেবে তার নাম রয়েছে। শুধু পরিচালকই নন, প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে তার আড়াই কোটি টাকা তুলে নেয়ার প্রমানও পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
করোনাকালে গ্রাহকদের নানা লোভে ফেলে একশ্রেণীর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ইভ্যালীসহ বিভিন্ন ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেন ও সামগ্রিক কার্যক্রমের ওপর নজরদারি শুরু করে সরকার।
এরই মাঝে গ্রাহকদের বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে। প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার খোঁজে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতার হয় প্রতিষ্ঠানটির এমডি, চেয়ারম্যান ও সিওও।
এদিকে শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জের অন্যতম মালিক হিসেবে নাম আসে ঢাকার বনানী থানার এসআই শেখ সোহেল রানার। তবে তিনি তা অস্বীকার করেন। গ্রাহকদের অভিযোগ- ই-অরেঞ্জের টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলেও নিয়েছে সোহেল। দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নিয়েছে ৩৪৯ কোটি টাকা। তদন্তে এ পর্যন্ত ই-অরেঞ্জের দুই ব্যাংক হিসাব থেকে ৬৬০ কোটি টাকার মতো স্থানান্তরের প্রমান পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
অবশেষে গা-ঢাকা দিতে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না সোহেলের। অবৈধভাবে ভারত থেকে নেপাল প্রবেশের সময় শনিবার সকালে শেখ সোহেল রানাকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফ। সোহেল রানাকে গ্রেফতারের বিষয়টি ভারত- বাংলাদেশকে অবহিত করেছে বলে জানান,গুলশান থাকার ওসি আবুল হাসান।
গ্রাহকদের বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তাহেরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহকের মামলার পর শুরু হয় তদন্ত। গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডি সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমানউল্লাহকে। অন্যরা এখনও পলাতক।