অব্যাহত শৈতপ্রবাহে বিপর্যস্ত সারাদেশের জনজীবন
এস. এ টিভি
- আপডেট সময় : ০৬:২১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৭২২ বার পড়া হয়েছে
দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নওগাঁয় শৈত্যপ্রবাহে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বদলগাছি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জানান, ৩ দিন ধরে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের
মানিকগঞ্জে কনকনে ঠান্ডার সাথে বইছে তীব্র বাতাস। এতে বেশি বিপারেক পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। তীব্র কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে শীত কালিন সবজি।
কয়েকদিনের শৈত্য প্রবাহে নাকাল দিনাজপুরের জনজীবন। দুর্ভোগে বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী কয়েকদিনে বইতে থাকা মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ মাঝারিতে পরিণত হবে।
চুয়াডাঙ্গায় শীত জেঁকে বসেছে। শৈত্য প্রবাহে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। বাড়ছে ঠান্ডাজিনত রোগীর সংখ্যা।
হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে রাত থেকে হাড় কাঁপানো হিম শীতল বাতাস আর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। দুর্ভোগ বেড়েছে দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের। তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ঠান্ডা বাতাস, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে জবুথবু সাতক্ষীরার মানুষ। বাতাসের আদ্রর্তার পরিমাণ রেকর্ড হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
নড়াইলে মানুষের পাশাপাশি কষ্টে পড়েছে গৃহপালিত পশু। গায়ে চটের বস্তা ও কম্বল দিয়ে শীত থেকে গবাদি পশু রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভ্যান-ইজিবাইক চালকরা রাস্তায় নামলেও যাত্রীর দেখা মিলছে না। সড়কে গাড়ি চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
ঝিনাইদহে ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। দেখা নেই সুর্যের। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীত উপেক্ষা করেই কাজে ছুটছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মানুষের পাশাপাশি শীতে কাহিল প্রাণীকুলও।
গত দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই নোয়াখালীতে। কনকন বাতাসে স্থবির জনজীবন। চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বেচাকেনা বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানে।
আবারো পৌষের কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় কাহিল উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন-কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। চরম দুর্ভোগে হতদরিদ্র মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে ভুগছেন নদনদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষ।
এদিকে প্রতিদিনই কুয়াশার কারণে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা বন্ধ থাকছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল। দুর্ঘটনা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি।