অরেঞ্জ থেকে রেড জোনে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প
- আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
- / ১৭৭৪ বার পড়া হয়েছে
করোনার পর ডলার সংকটেও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। এরইমধ্যে পরিবেশ দফতর অরেঞ্জ জোন থেকে অতি ঝুঁকিপুর্ণ রেড জোনের তালিকায় নামিয়ে আনে এই শিল্পকে। আর হংকং কনভেনশন রেটিফাই করার তাগিদ দিয়েছে নরওয়ে। অন্যথায়, গ্রীন জাহাজ বাংলাদেশের ইয়ার্ডে পাঠানো বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষে থাকা এই শিল্পের ভবিষ্যত হুমকির মুখে। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার এগিয়ে না এলে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরী পোশাকের পর এককভাবে রাজস্ব আয়ের বড় এই খাত।
নির্ধারিত একটি সময়ের পর উত্তাল সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ানো এই জাহাজগুলো নিজেই বর্জ্যে পরিণত হয়। যার বড় একটি অংশের গন্তব্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকায়। সমুদ্রে চলাচলের যোগ্যতা হারানো এসব জাহাজ ভেঙ্গে পুণ:প্রক্রিয়াজাত করা হয় এখানে।
করোনার আগের বছর পর্যন্ত এই খাত বিশ্বের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখলেও ২০২০ সাল থেকে তা নিন্মমুখি। তবে সাম্প্রতি ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল শিল্পটি। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশ অধিদফতরের একটি সিদ্ধান্ত।
সীতাকুণ্ড উপকুলে এখন ৩৫ থেকে ৪০টি জাহাজ ভাঙ্গা প্রতিষ্ঠান সচল আছে। এর মধ্যে তিনটি শিপ ইয়ার্ড আইএমও’র গাইডলাইন মেনে গ্রীণ ইয়ার্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে। মানোন্নয়নের কাজ চলছে আরো কয়েকটিতে। যা দেখে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে হংকং কনভেনশন রেটিফাই করতে সরকারের প্রতি আহবান জানায় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প পরিদর্শনে আসা নরওয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
এদিকে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, সীতাকুণ্ডের এই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ওপর ভর করেই সারা দেশে অন্তত ৫ শতাধিক রি-রোলিং মিলসহ অসংখ্য ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তাই এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে অস্থিরতা তৈরী হবে সবখানে।
হংকং কনভেনশন রেটিফাই করলে পরবর্তি ২ বছরের মধ্যে সবগুলো শিপ ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে পরিণত করা বাধ্যতামুলক। তাই এই খাতের মানোন্নয়নের পাশাপাশি শ্রমিক নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে কনভেনশন রেটিফাই করা উচিত।