অর্ডার না পেয়ে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৩ শতাধিক গার্মেন্টস
- আপডেট সময় : ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রভাবে পর্যাপ্ত অর্ডার না পেয়ে বাংলাদেশের অন্তত ৩ শতাধিক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছে আরো কয়েকশো গার্মেন্ট। তাই সংকটে থাকা কারখানাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে বিজিএমইএ। আর গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, প্রচলিত বাজারগুলোতে অর্ডার কমে আসায় নতুন বাজার খুঁজছেন তারা। তবে তার জন্যও প্রয়োজন সরকারের নীতিগত ও কুটনৈতিক সমর্থন।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যান বলছে, গেল জুন মাসে জাহাজিকরণ হওয়া ৪৬ হাজার রপ্তানীমুখি পণ্য বোঝায় কন্টেইনারের মধ্যে ৪২ হাজার কন্টেইনারই ছিলো গার্মেন্টস পণ্য। যা মে মাসের চেয়ে অন্তত ১০ হাজার কন্টেইনার বেশি। কিন্তু গত বছরের জুন মাসের চেয়ে এবার রপ্তানী কমেছে ১৯ শতাংশের বেশি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রপ্তানী বাণিজ্যে ধ্বস নামার আশংকা সংশ্লিষ্টদের।
তৈরী পোষাক কারখানা মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, করোনাকালে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল কিম্বা স্থগীত হয়েছে। এই ধাক্কা সামলাতে না পেরে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৩ শতাধিক কারখানা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সহযোগী না হলে অর্ধেক গার্মেন্টসই অস্তিত্ব হারাবে।
গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, ইউরোপ, আমেরিকার মতো প্রধান রপ্তানীমুখি দেশগুলো করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশী। তাই বড় এই বাজারগুলো আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে অনেক। এই মুহুর্তে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নতুন বাজারের সন্ধানে নামার বিকল্প নেই। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সরকারের কুটনৈতিক সহায়তা।
করোনার কারণে টানা একমাস পুরোপুরি বন্ধ, পরের মাস আংশিকের পর এখন পুরোদমে চলছে তৈরী পোষাক শিল্প। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলো কারখানা বন্ধ হয়নি এক দিনের জন্যও। তাই এই দুই মাসের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দারানোয় এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ মনে করছেন গার্মেন্টস মালিকরা।