অর্থনীতির কোন সূচকের সুসংবাদ নেই
- আপডেট সময় : ০২:৪০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৬৯৯ বার পড়া হয়েছে
অর্থনীতির কোন সূচকেই সুসংবাদ নেই। রপ্তানীর প্রবৃদ্ধি নেতিবাচকের সঙ্গে দু:সংবাদ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সেও। যা নিকট অতীতের মধ্যে সবচে কম। রিজার্ভের মজুদ যখন নিম্নমুখী তখন ডলারের বিপরীতে ঠেকানো যাচ্ছে না টাকার দরপতন। এর ওপর নির্বাচন ঘিরে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ধারে-কাছেও যাচ্ছে না সরকার।
আগস্ট মাসে রপ্তানী থেকে বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে ৪৭৮ কোটি ডলার। একমাসের ব্যবধানে তা কমে দাঁড়ায় ৪৩১ কোটি ডলার। জুন মাসে রেমিটেন্স এসেছিলো ১৯৭ কোটি ডলার। তিন মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে তা কমে ১৩৪ কোটি ডলারে ঠেকেছে। যার হার করোনা শুরু ৪৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ম। অর্থবছরের শুরুতে ৯ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি এখন সরকারি হিসেবেই ১২ শতাংশ। বাস্তব আরো বেশি। এভাবে অর্থনীতির সব সুচকই নিন্মমুখি। ফুটেজ-১
এতোকিছুর মধ্যে আসছে নির্বাচন। রপ্তানীমুখি দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের টানাপড়েনে চিন্তার ভাজ পড়েছে ব্যবসায়ীদের কপালে। তাদের দাবি, করোনার পর যুদ্ধের বাস্তবতা মোকাবিলা করতেই হিমশিম খাবার যোগাড়। এরওপর অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করার মতো মোড়ল দেশগুলোর যে-কোন সিদ্ধান্তে বিপর্যয় নেমে আসবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে বৈধ ও অবৈধ উপায়ে লাগামহীনভাবে টাকা পাচারের কারনেই হঠাৎ বিপর্যয় জাতীয় অর্থনীতিতে। শেষ পর্যায়ে এসে সরকার ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও তার কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।
গত দুই বছর ধরেই অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের পুর্বাভাস দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু সরকার সমস্যাগুলোকে স্বীকারই করেনি। খেলাপী ঋণ আদায়ে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং ঋণের টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মতো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে।
জাতীয় অর্থনীতির আরেক প্রাণ ভোমরা রাজস্ব আদায়। চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাসে যার কোন পরিসংখ্যনই প্রকাশ করেনি জাতীয় রাজস্ব বর্ড।