অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের দাম পনের লাখ টাকা চাইছে এক কৃষক
- আপডেট সময় : ০৫:৩০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
- / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
ঈদকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের দাম পনের লাখ টাকা চাইছে শরীয়তপুরের এক কৃষক। এটিকে জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, সিরাজগঞ্জে পশু বিক্রি ও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত খামারীরা। তবে হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়লে খামারীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে দাবি করছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
২০১৯ সালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আকশা গ্রামের আবু বক্কর মেলকার অস্ট্রেলিয়ান গাভি থেকে একটি বাচ্চা হয়। তার নাম রাখা হয় ঈশা খাঁ। শুরুতে বাছুরটিকে চার থেকে পাঁচ কেজি করে গাভীর দুধ খাওয়ানো হয়। এরপর একটু বড় হলে খাদ্য তালিকায় যোগ হয়- কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া ও ছোলা।
ঈশা খাঁকে পরিবারের একজন সদস্যের মতো করেই বড় করেছেন আবু বক্কর। এবার ঈদ বাজারে গরুটি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। কিন্তু, এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা। তবে, ১২ লাখের কমে বিক্রি করবেন না। শরীয়তপুরে বিক্রি না হলে, ঈশা খাঁকে ঢাকা নিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। ডিজিটাল স্কেলে ঈশা খাঁর ওজন হয়েছে ২২ মণ।
সিরাজগঞ্জে পশু নিয়ে চরম দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় গরু পালন করেছেন তারা। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ সময় হাট পশু বন্ধ থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। তবে হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়লে খামারিরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। জেলায় দু’লাখ ৮৫ হাজার ৭৭১টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এক লাখ ২৫ হাজার ৪৯৫টি পশু অন্য জেলায় রপ্তানি করা হবে।