আইসিজের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরাসরি নির্দেশনা আসার সম্ভাবনা কম

- আপডেট সময় : ০২:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
শুনানীর দেড় মাসের মাথায় আগামী ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্টির ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর চলমান গণহত্যার বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন রায় দিতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে। এতে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সরাসরি কোন নির্দেশনা আসার সম্ভ্যাবনা না থাকলেও, রায় পক্ষে গেলে মিয়ানমারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরী হবে বলে প্রত্যাশা গবেষকদের। আর নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকরা বলছেন, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এই রাষ্ট্রটি এখনো চীন ও ভারতের মতো বড় রাষ্ট্রগুলোর প্রশ্রয় পাওয়ায়, ন্যায় বিচার নিয়ে সংশয় রয়েছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্টির ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের চলমান নৃশংশতা গণহত্যায় রূপ নেয় ২০১৭ সালে। জীবন বাঁচাতে ১০ লাখের বেশী রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। (ফুটেজ-১ রোহিঙ্গাদের আসার ফুটেজ ঢাকার আর্কাইভ থেকে সংযুক্ত হবে)
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় গাম্বিয়া। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে তা বন্ধসহ অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানায় আফ্রিকার দেশটি। একইসঙ্গে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় অন্তবর্তিকালিন রায়ও চায় গাম্বিয়া। গেলো ডিসেম্বরে তিন দিনের শুনানী হয় নেদারল্যাণ্ডে।
আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই রায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না এলেও, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে। যা পুঁজি করতে পারলে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা তরান্বিত হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর এমদাদ বলছেন, প্রতিবেশী ভারত আর চীন আন্তরিক না হলে আইসিজের রায় পক্ষে এলেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে। আর গবেষক আবু নোমান মনে করেন, আইসিজের মামলায় বাংলাদেশ কোন পার্ট না হলেও, রায় নির্যাতিত জনগোষ্টির পক্ষে গেলে, তা বাংলাদেশের দাবি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করবে। সেটাফ
গাম্বিয়ার এই মামলার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নেয়া দু’দফায় দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ ব্যার্থ হয়েছে। তাই সংকট সমাধানে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ভারত ও চীনকে সঙ্গে নিয়ে বহুপাক্ষিক উদ্যোগের দিকে মনযোগ বাড়াতে হবে বাংলাদেশকে। এমনটাই মনে করেন এই দুই বিশ্লেষক।