০২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আকস্মিক মৃত্যু অঞ্জন-পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একের পর এক দুঃসংবাদ চৌধুরী পরিবারে। চার মাস আগেই প্রয়াত হয়েছেন অঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী। মাসখানেকের মধ্যেই আকস্মিক মৃত্যু অঞ্জন-পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর। একাধিক ধারাবাহিকে পরিচালক, সৃজনশীল পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন সন্দীপ চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্দীপ।

প্রয়াত পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী। তবে তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে তিনি খ্যাতিমান পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র। বছরের শুরুতেই পরিচালকের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবারসহ গোটা টলিপাড়া। গত ১৭ ডিসেম্বর আচমকা ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের সেটে হঠাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দীপ। তার পর সন্দীপকে ইকবালপুর নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়।তার পর থেকে টানা ভর্তি ছিলেন নার্সিং হোমে। তিনী কিডনির সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শেষমেশ ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্দীপ।

সন্দীপ ‘এরাও শত্রু’-র মতো মেগা সিরিয়ালের পরিচালক। এ ছাড়াও টলিপাড়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত। ‘জি বাংলা’ থেকে সান বাংলা, সব কটি চ্যানেলেই প্রায় কাজ করেছেন। সদ্যশেষ হওয়া ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকের সৃজনশীল পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়াও ‘কন্যাদান’ ধারাবাহিকের সংলাপের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। এ ছাড়াও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-জিতু কমলের সঙ্গে একটি ছবি করেন তিনি, ছবির নাম ‘বিদ্রোহিনী’। এ ছাড়াও বেশ কিছু ধারাবাহিকে কাজের কথা চলছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই থমকে গেল সন্দীপের পথচলা।

ভাইয়ের আকস্মিক প্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চুমকি চৌধুরী ও রিনা চৌধুরী। অঞ্জন চৌধুরীর তিন সন্তান। বড় মেয়ে চুমকি, তার পর ছেলে সন্দীপ ও ছোট মেয়ে রিনা। দুই বোন অভিনয় জগতে এলেও সন্দীপ বরাবরই ছিলেন ক্যামেরার পিছনের মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরেই নাকি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন সন্দীপ। দাদার প্রয়াণে রিনা বলেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না। শুনলাম শুটিং চলাকালীন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। তার পর ইকবালপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় ওকে। দাদার স্ত্রী নিয়ে গিয়েছিল। আজকে হঠাৎ কী ঘটে গেল! আমরা গোটা বিষয়ে অন্ধকারে ছিলাম। ও একদম নিজের যত্ন নিত না। এ ছাড়াও দাদা একদম যত্ন পায়নি। আমি ও দিদি ডাক্তারের কাছে যেতে বললে বলত, কাজের চাপ।’’ বলতে বলতে গলা বুজে এল রিনার। অন্য দিকে, অঞ্জন চৌধুরীর বড় মেয়ে চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোনও রকমে বললেন, ‘‘কথা বলার অবস্থায় নেই।’’

সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী। তিনী একজন অভিনেত্রী। ‘এরাও শত্রু’ ধারাবাহিকে ছিলেন বিদিশা। এ ছাড়াও সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘এভারেস্ট’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে বিদিশাকে। তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনও রকম উত্তর পাওয়া যায়নি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আকস্মিক মৃত্যু অঞ্জন-পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর

আপডেট সময় : ০৬:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

একের পর এক দুঃসংবাদ চৌধুরী পরিবারে। চার মাস আগেই প্রয়াত হয়েছেন অঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী। মাসখানেকের মধ্যেই আকস্মিক মৃত্যু অঞ্জন-পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর। একাধিক ধারাবাহিকে পরিচালক, সৃজনশীল পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন সন্দীপ চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্দীপ।

প্রয়াত পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী। তবে তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে তিনি খ্যাতিমান পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র। বছরের শুরুতেই পরিচালকের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবারসহ গোটা টলিপাড়া। গত ১৭ ডিসেম্বর আচমকা ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের সেটে হঠাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দীপ। তার পর সন্দীপকে ইকবালপুর নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়।তার পর থেকে টানা ভর্তি ছিলেন নার্সিং হোমে। তিনী কিডনির সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শেষমেশ ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্দীপ।

সন্দীপ ‘এরাও শত্রু’-র মতো মেগা সিরিয়ালের পরিচালক। এ ছাড়াও টলিপাড়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত। ‘জি বাংলা’ থেকে সান বাংলা, সব কটি চ্যানেলেই প্রায় কাজ করেছেন। সদ্যশেষ হওয়া ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকের সৃজনশীল পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়াও ‘কন্যাদান’ ধারাবাহিকের সংলাপের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। এ ছাড়াও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-জিতু কমলের সঙ্গে একটি ছবি করেন তিনি, ছবির নাম ‘বিদ্রোহিনী’। এ ছাড়াও বেশ কিছু ধারাবাহিকে কাজের কথা চলছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই থমকে গেল সন্দীপের পথচলা।

ভাইয়ের আকস্মিক প্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চুমকি চৌধুরী ও রিনা চৌধুরী। অঞ্জন চৌধুরীর তিন সন্তান। বড় মেয়ে চুমকি, তার পর ছেলে সন্দীপ ও ছোট মেয়ে রিনা। দুই বোন অভিনয় জগতে এলেও সন্দীপ বরাবরই ছিলেন ক্যামেরার পিছনের মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরেই নাকি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন সন্দীপ। দাদার প্রয়াণে রিনা বলেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না। শুনলাম শুটিং চলাকালীন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। তার পর ইকবালপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় ওকে। দাদার স্ত্রী নিয়ে গিয়েছিল। আজকে হঠাৎ কী ঘটে গেল! আমরা গোটা বিষয়ে অন্ধকারে ছিলাম। ও একদম নিজের যত্ন নিত না। এ ছাড়াও দাদা একদম যত্ন পায়নি। আমি ও দিদি ডাক্তারের কাছে যেতে বললে বলত, কাজের চাপ।’’ বলতে বলতে গলা বুজে এল রিনার। অন্য দিকে, অঞ্জন চৌধুরীর বড় মেয়ে চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোনও রকমে বললেন, ‘‘কথা বলার অবস্থায় নেই।’’

সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী। তিনী একজন অভিনেত্রী। ‘এরাও শত্রু’ ধারাবাহিকে ছিলেন বিদিশা। এ ছাড়াও সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘এভারেস্ট’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে বিদিশাকে। তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনও রকম উত্তর পাওয়া যায়নি।