আখের অভাবে মাত্র ৪২ দিনে শেষ হয়েছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের মাড়াই মৌসুম
- আপডেট সময় : ১০:৪১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
কমপক্ষে ৬০ দিন চলার কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় আখের অভাবে মাত্র ৪২ দিনে শেষ হয়েছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ২০১৯-২০ সালের মাড়াই মৌসুম । লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে এ প্রতিষ্ঠানটিকে। তাইতো ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় আছেন জেলার একমাত্র ভারী শিল্প এই সুগার মিলটির উপর নির্ভরশীল ১১ শ’ শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তা ছাড়াও মৌসুমী শ্রমিক-দিনমজুর-আখচাষি ও তাদের পরিবার-পরিজনসহ লক্ষাধিক মানুষ।
এক সময় আখ ছিলো এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান ফসল। সুগার মিলের নিজস্ব ফার্ম ছাড়াও ১২ থেকে ১৫ মাসের ফসল আখ বা কুশার ক্ষেত দেখা যেতো দিগন্তজুড়ে । কালের পরিক্রমায় জমি ভাগ হয়ে পড়েছে, মানুষ বেশি লাভের আশায় ঝুঁকছে ধান, গম, পাট চাষের পাশা-পাশি আলু, ভুট্টা, চীনাবাদাম, সবজিসহ স্বল্প মেয়াদি ফসল চাষে। আখ চাষিদের অভিযোগ, গত ৩ বছরে চিনির দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়লেও আখের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা ৪৩ পয়সাই আছে।
আখের দামও ক্রমান্বয়ে বাড়ানোর কথা জানালেন- ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আখ সংকট দূর করে সুগার মিলটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উপায় এখনো আছে, সেজন্য আখের দাম বৃদ্ধি করা ও মিলটিকে দুর্নীতিমুক্ত করা দরকার বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এ জেলার অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্র্ণ সুগার মিলটি টিকে থাকুক ও উন্নতির প্রবাহ প্লাবিত করুক পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা- এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।