আগস্টের খু’নীদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা মানায় না : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
- / ১৭৩৪ বার পড়া হয়েছে
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী মেধাভিত্তিক প্রজন্ম গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য কাজ করছে সরকার। শেখ রাসেল ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত শেখ রাসেল পদক ২০২২ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তরুণ প্রজন্মের জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ কিংবা অস্ত্র প্রতিযোগিতা নয়, শিশুদের জন্য নিরাপদ বিশ্বই বাংলাদেশের প্রত্যাশা। যারা ১৫ আগষ্টের খুনী- তারাই ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে, তাদের মুখে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর। রাত দেড়টায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কোল আলো করে জন্ম নেয় জাতির পিতা বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠতম সন্তান শেখ রাসেল।
যার আত্মবিশ্বাসী চলাফেরা ও বুদ্ধিদীপ্ত চাহনির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর আকাশ-ছোঁয়া ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। বিশ্বমানবতাকে কাঁদিয়ে ‘৭৫-এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যসব সদস্যের সঙ্গে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা।
শেখ রাসেলের অমর স্মৃতি– শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে জাগ্রত করে রাখতে ৫৯তম জন্মদিনে শেখ রাসেল পদক ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইসিটি মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুরুতেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী মেধাভিত্তিক প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫ হাজারটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন, শিক্ষা, নৃত্য, ক্রীড়াসহ ১০ ক্যাটাগরিতে দেয়া হয় ‘শেখ রাসেল পদক ২০২২’। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের শুরুতেই বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
আবেগভরা কণ্ঠে ছোট ভাই রাসেলের জন্ম ও স্বপ্নের কথা জানান বড় বোন শেখ হাসিনা।
১৫ আগস্টের হত্যাকারী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের আয়োজকদের মুখে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ নিয়ে সরকারের ভবিষ্যত লক্ষ্য ও কর্মের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামীর বিশ্ব নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথাও জানান সরকার প্রধান।