০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংগ্রাম, সংকট ও অর্জনের ৭১ বছর পার করলো দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাত দশকেরও বেশি সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছে দলটি ।বাংলাদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা, উন্নয়নের যে কোন অর্জনে নেতৃত্বও দিয়েছে উপমহাদেশের সবচাইতে প্রাচীন এ দলটি । আওয়ামী লীগের একাত্তরতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, পুরান ঢাকার কে এম দাশ রোডে রোজ গার্ডেনে মাওলানা হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হক খানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ। কালের পরিক্রমায় যা পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম এ দলের হাতে।

১৯৫৫ সালে সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু । বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগ – এক সূত্রে গাঁথা। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন আর ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশ ।

স্বাধীনতার পর থেকে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসেছে, স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে গণতন্ত্র। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে।

২০০১ এবং ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আর এক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামা লীগ। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুযারি এবং ২০১৮-এর ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে এ দলটি।

আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারা। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এ ইতিহাসবিদ।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, দলের আদর্শ ধরে রেখে সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা আর গণতন্ত্রকে ধরে রাখাই এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্য-সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সামনের দিনগুলোতেও ভুমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

সংগ্রাম, সংকট ও অর্জনের ৭১ বছর পার করলো দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাত দশকেরও বেশি সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছে দলটি ।বাংলাদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা, উন্নয়নের যে কোন অর্জনে নেতৃত্বও দিয়েছে উপমহাদেশের সবচাইতে প্রাচীন এ দলটি । আওয়ামী লীগের একাত্তরতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, পুরান ঢাকার কে এম দাশ রোডে রোজ গার্ডেনে মাওলানা হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হক খানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ। কালের পরিক্রমায় যা পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম এ দলের হাতে।

১৯৫৫ সালে সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু । বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগ – এক সূত্রে গাঁথা। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন আর ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশ ।

স্বাধীনতার পর থেকে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসেছে, স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে গণতন্ত্র। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে।

২০০১ এবং ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আর এক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামা লীগ। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুযারি এবং ২০১৮-এর ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে এ দলটি।

আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারা। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এ ইতিহাসবিদ।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, দলের আদর্শ ধরে রেখে সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা আর গণতন্ত্রকে ধরে রাখাই এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্য-সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সামনের দিনগুলোতেও ভুমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।