আজ চা-শ্রমিক হত্যা দিবস
- আপডেট সময় : ০২:৩০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী এখনও শোষিত , নির্যাতিত এবং মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত । তাদের পুর্বপুরুষদের জীবনের ঘটনাবহুল কোন স্বীকৃতিও নেই ইতিহাসে। তারপরও তারা প্রতিবছর আজকের দিনটিকে পালন করে চা-শ্রমিক হত্যা দিবস হিসেবে। বৃটিশ শাসনামল থেকে ভারত-পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত চা-শিল্পের ইতিহাস প্রায় দুইশো বছরের। তবে বাগান মালিকদের আকাশচুম্বী উন্নতি হলেও পরিবর্তন নেই শ্রমিকদের ভাগ্যের।
ঝুমবৃষ্টির দিনে,শীতসকালে কিংবা আড্ডায়-অবসরে এককাপ ধূমায়িত চায়ে চুমুক দিতে গিয়ে আমরা কি কখনো ভেবেছি,এই চায়ের উৎপাদন ইতিহাসের কথা ? যে ইতিহাস শোষণ-বঞ্চনা, অত্যাচার-নিপীড়ন অবহেলা- নির্যাতনের ইতিহাস। ১৮৩৪ সালে ব্রিটিশ বেনিয়া কর্তৃক ভারতের বিহার,মাদ্রাজ,উত্তর প্রদেশ ও উড়িষ্যা থেকে প্রায় ১১৬টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে শ্রমিক হিসেবে সংগ্রহের মাধ্যমে এই ইতিহাসের সূচনা।
তারপর থেকে এই অঞ্চলে সংঘটিত প্রতিটি শোষণ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম চা-শ্রমিকের উদ্দীপ্ত করে তুলেছে।আজ ২০ মে
১৯২১ সালের এই দিনে চা- শ্রমিকদের দুঃসহ জীবন থেকে মুক্তির আশায় নিজেদের ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়া বা ” মুল্লুক চলো’র” আন্দোলনে মেঘনার পাড়ে বৃটিশ গোর্খা সৈনিকরা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে থামিয়ে দিয়েছিলো তাদের প্রত্যাবর্তন। বর্তমান সময়ে স্বাভাবিক জীবনমানের তুলনায় অপ্রতুল দৈনিক মজুরি নিয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন এসব শ্রমিকদের।
দেশের অন্যতম লাভজনক শিল্পখাত চা- শিল্পের শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে ভোটাধিকার পেলেও আজও বঞ্চিত ভূমির অধিকার থেকে। অনেক বাগানেই এখনো নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়।বৃটিশ শাসনামল থেকে বাগান পরিচালনায় সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়ে যাওয়ায়শত বছরেও তাদের জীবন মানের কোন পরিবর্তন না হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন এই গবেষক।
চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নত ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে সরকারের এখনই গুরুত্ব দেয়া উচিৎ, এমনটাই দাবি সংস্লিষ্টদের।