আঞ্চলিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন মোদী
- আপডেট সময় : ০৭:১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
আঞ্চলিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঢাকায় মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানের সমাপনীতে যোগ দিয়ে দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে একসাথে পথচলার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় দু’দিনের সফরে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাকালের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ১০ দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচীর শেষ দিনে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশে সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা।
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধনে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত করেছে ভারত সরকার। সে পুরস্কারটি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার হাতে তুলে দেন নরেন্দ্র মোদী।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও প্রজ্ঞা যে কোন দেশের জন্য অনুকরনীয়। তিনি আরো বলেন, দারিদ্র ,সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমনে গনতান্ত্রিক এই দুই রাষ্ট্র একসাথে কাজ করবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তারা আজ ভ্রান্ত প্রমানীত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রাচারে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বন্ধুরাষ্ট্রের এই সরকার প্রধানকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। ২১ বার তোপধ্বনি শেষে রাষ্ট্রীয় সালাম জানাতে দেয়া হয় গান স্যালুট।
এরপর মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান নরেন্দ্র মোদী। সেখানে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। একটি গাছের চারা রোপণ করে তিনি পরিদর্শন বইতে লেখেন, বাঙালির ত্যাগ ও সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা আর বাংলার স্বাধীনতায় ভারতের অকৃত্রিম সমর্থন আর অকুন্ঠ সহযোগীতার বাণী।