আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
- আপডেট সময় : ০১:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
- / ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারীর সম-অধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের মতো আজ বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি নানা আয়োজনে পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিবছর নারী-পুরুষের সম-অধিকার ও বৈষম্য দূর করতে নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিনটি।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা আজ শুধু গার্মেন্ট শিল্পেই নন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা, উদ্যোক্তা, সাংবাদিকতা, এভারেস্ট জয়, খেলা, সৃষ্টিশীল এমনকি যুদ্ধ বিমান চালনাতেও একে একে নিজেদের দক্ষতা, যোগ্যতা আর গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ রেখে চলেছেন।
ন্যায্য মজুরি, শ্রমঘণ্টা ১২ থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা, স্বাস্থ্যকর কর্ম-পরিবেশ ও ভোটাধিকারের দাবিতে ১৯০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে রাজপথে নামেন ১৫ হাজার নারী। ধরপাকড়ের শিকারও হন অনেকে। পরের বছরই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সোশ্যালিস্ট পার্টি অব আমেরিকা।
তবে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন জার্মানির সমাজতান্ত্রিক নেতা ক্লারা জেটকিন। আর এ নিয়ে চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসে ১৯৭৫ সালে। এরপর থেকেই জাতিসংঘের আহ্বানে নারীর সম-অধিকার আদায়ের অঙ্গীকারে সারা বিশ্বে পালন করা হয় দিনটি।
নারী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।’
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের নারীসমাজ এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, গৃহকর্মে নারীর শ্রম ও অবদানকে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, মানবসূচক উন্নয়নে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। এটি জাতীয় অর্থনীতিতে এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব আনবে। তাছাড়া দেশের শীর্ষ কর্মপদে বাংলাদেশ নারীদের ক্ষমতায়নে অনেক দূর এগিয়েছে। এটিরও একটি শুভ প্রভাব অনিবার্য। অমর্ত্য সেনের কথার রেশ ধরে বাংলাদেশের নারীদের এমন অগ্রযাত্রার উদাহরণ বিশ্ব সমাজকে চমকে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।