প্রাণভিক্ষা নাকচ হওয়ায় যশোর কারাগারে ২ আসামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছেঃ আইনমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙার একটি হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি,গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, সেটি ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন,আসামীদের আপিল শুনানি শেষে, রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষা নাকচ হওযায়, ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেন, তার জানা মতে যথাযথ নিয়ম মেনেই ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
১৯৯৪ সালের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গাল সাবেক ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেন খুন হন। এ ঘটনায় ঝড়ু, মকিমসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে ঝড়ু, মকিমসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পরে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে শুনানির জন্য আসে। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্ট রায়েও ঝড়ু ও মকিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।আসামিপক্ষের আইনজীবীর তথ্যমতে, এর বিরুদ্ধে ওই বছরই তাঁরা পৃথক আপিল করেন। আপিল দুটি বুধবার কার্য তালিকার ১১ নম্বরে ছিল।
তবে আপিল নিষ্পত্তির আগেই যশোর কারাগারে দুই জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। এতে ক্ষোভ জানান মকিম ও ঝড়ুর স্বজনেরা।
তদন্ত করলে আসল বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন, জেলার আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ফাঁসি কার্যকরের সংবাদটি যেভাবে প্রচার হয়েছে,সেটি সঠিক নয়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপিল শুনানির প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও সেটি নাকচ হওয়ায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ফাঁসি কার্যকরের যে প্রক্রিয়া, তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিচারব্যবস্থা ডিজিটালাইজড না হওয়ায় আসামিদের নিয়মিত আপিলটি সংশ্লিষ্ট শাখায় পড়ে ছিল।
তবে আপিল নিষ্পত্তি করে ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে মনে করেন তিনি।