০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আবারো ঝড়ের আভাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে খুলনাঞ্চলের মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
  • / ১৭০০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় গত ক’বছর ধরে একাধিক প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে না পারা মানুষ আবারো ঝড়ের আভাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার বেড়ি বাঁধগুলো অরক্ষিত থাকায়, ঝড়ে আবারো প্লাবনের আশঙ্কা করছেন তারা। বলছেন, বাঁধ স্থায়ী করতে নদী শাসনের বিকল্প নেই।

আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশ উপকূলে রোববার আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা এবং খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলা সবচে’ ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ৬৮৩ কিলোমিটার এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ৪৭৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলবাসী।

ভাঙনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘড়ি যেনতেনভাবে বাঁধ মেরামত করলেও ভারি বর্ষণ আর জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে এই বাঁধগুলো আর টিকে থাকে না। এবারও তাই আশঙ্কায় স্থানীয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের স্থায়ী সমাধানে নদী শাসনের দাবি তাদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ বাধগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা। খুলনা আবহাওয়া অফিস জানায়, ১৪ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এটি খুলনা উপকূলে সরাসরি আঘাত না হানলেও দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হবে।

জেলা প্রশাসন বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় খুলনায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পৌনে ৩ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পরিমাণ বাড়ছে। এর থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপকূলীয় এলাকায় দ্বিতল পাকাবাড়ী নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আবারো ঝড়ের আভাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে খুলনাঞ্চলের মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:২০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় গত ক’বছর ধরে একাধিক প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে না পারা মানুষ আবারো ঝড়ের আভাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার বেড়ি বাঁধগুলো অরক্ষিত থাকায়, ঝড়ে আবারো প্লাবনের আশঙ্কা করছেন তারা। বলছেন, বাঁধ স্থায়ী করতে নদী শাসনের বিকল্প নেই।

আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশ উপকূলে রোববার আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা এবং খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলা সবচে’ ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ৬৮৩ কিলোমিটার এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ৪৭৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলবাসী।

ভাঙনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘড়ি যেনতেনভাবে বাঁধ মেরামত করলেও ভারি বর্ষণ আর জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে এই বাঁধগুলো আর টিকে থাকে না। এবারও তাই আশঙ্কায় স্থানীয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের স্থায়ী সমাধানে নদী শাসনের দাবি তাদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ বাধগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা। খুলনা আবহাওয়া অফিস জানায়, ১৪ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এটি খুলনা উপকূলে সরাসরি আঘাত না হানলেও দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হবে।

জেলা প্রশাসন বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় খুলনায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পৌনে ৩ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পরিমাণ বাড়ছে। এর থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপকূলীয় এলাকায় দ্বিতল পাকাবাড়ী নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।