৫ বছর ধরে পড়ে আছে ভারত থেকে আমদানি করা ২শ’ টন গম
- আপডেট সময় : ০২:০২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭২২ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের দুটি গুদামে পাঁচ বছর ধরে পড়ে আছে ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ২শ’ টন গম। পাঁচ বছর আগের সেই গম এখন পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করছে। অন্যদিকে, ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৩শ’ পিস রেলস্লিপারও নিম্নমানের হওয়ায় সেগুলো আটকে দিয়েছে বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমদানি করা এই গম ও স্লিপারের বিষয়ে দীর্ঘদিনেও সিদ্ধান্ত না নেয়ায় বিপুল অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড।
২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি নীলফামারীর মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে আমদানী করে ১৯০ টন গম। নিম্নমানের এই গমের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ক্ষতিকর জীবাণু পেয়ে ছাড়পত্র দেয়নি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। আর এতেই আটকে যায় গমের এ চালানটি। নিয়ম অনুযায়ী তা ভারতে ফেরত পাঠানো অথবা ধ্বংস করে ফেলার কথা।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইরকন ইন্টারন্যাশনাল নামের ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এ বন্দর দিয়ে পাঠায় ১ হাজার ৩শ’ রেলস্লিপার। কিন্তু মানে ত্রুটি থাকায় তা আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে স্লিপারগুলো পড়ে আছে বন্দরের ইয়ার্ডেই।
বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বলছেন, নিম্নমানের এসব গম দীর্ঘদিন গুদামে পড়ে থাকায় এখন পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে বন্দরের পরিবেশ দূষণসহ তারাও নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভারত থেকে আমদানি করা নিম্নমানের গম– পশু ও মৎস্য খাবারেরও অনুপোযোগী হওয়ায় সেগুলো ধ্বংস করার অনুমতি পাওয়া গেছে। আর বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা নিম্নমানের ভারতীয় স্লিপারগুলো সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুতই অপসারণ করা হবে বলে জানালেন বন্দরের ব্যবস্থাপক।
বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা ও পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে গুদামে থাকা পঁচা গম ও স্লিপারের বিষয়ে দ্রুতই কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবী ব্যবসায়ীসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর।