আমদানীর গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা কেটে রাখতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে বারভিডার আবেদন
- আপডেট সময় : ০২:১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
আমদানী করা প্রতিটি গাড়ি থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে দিতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে রিকন্ডিশণ্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন- বারভিডা। এমন প্রস্তাবে চট্টগ্রাম বন্দর সায় না দিলেও রাজি হয়েছে মংলা বন্দর। গত ৫ নভেম্বর থেকে বারভিডা-লেভী নামের এই শুল্ক আদায় করাও শুরু হয়েছে। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি- বড় একটি স্টেকহোল্ডারকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়েই এগিয়ে এসেছে তারা। কিন্তু বিষয়টিকে সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবী। আর বারভিডা বলছে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই সব সদস্যের অনুমতি নিয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে বছরে গড়ে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার রিকন্ডিশণ্ড গাড়ি আমদানী হয় বাংলাদেশে। এর মধ্যে শুল্কের পাশাপাশি স্টোররেন্টসহ আনুষাঙ্গিক চার্জ মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে খরচ বেশি পড়ায় বর্তমানে গাড়ি আমদানীর প্রধান রুট হয়ে উঠেছে মংলা বন্দর।
গত ৫ নভেম্বর থেকে আমদানী করা গাড়ি খালাশের সময় বন্দরের মাশুল, সরকারী রাজস্ব ও শুল্কের পাশাপাশি আরো অতিরিক্ত এক হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে আমদানীকারকদের। বারভিডা-লেভী নামে এই অর্থ আদায় করছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি- সংগঠনটির এজিএম-এর সিদ্ধান্তসহ আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদায় করা অর্থ থেকে সার্ভিসচার্জ কেটে রেখে বাকি টাকা বারভিডার একাউন্টে জমা দিচ্ছে মংলা বন্দর।
কোনো সংগঠনের চাঁদার টাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানের আদায় করে দেয়াটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে অবিলম্বে বারভিডা-লেভি আদায় বন্ধে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবী।
তবে বারভিডা বলছে, সংগঠনকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে সব সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে টিআইবি বলছে, বারভিডার এই মডেলকে নজির হিসেবে নিয়ে অন্যান্য সংগঠনগুলোও যদি তাদের সাংগঠনিক চাঁদা আদায়ে বন্দরের মতো সরকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের সুযোগ চায়, তবে অস্থিরতা তৈরী হবে পুরো আমদানী-রপ্তানী খাতে।
মংলার পর একই ধরনের সুযোগ চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকেও চিঠি দিয়েছে বারভিডা। আইনগত জটিলতার আশংকায় বারভিডার এই আবেদনে সাড়া না দিয়ে বন্দরের ভেতরে বুথ ভাড়া নিয়ে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় চাঁদা আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।