আমদানী করা এলএনজি নির্ভর হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম
- আপডেট সময় : ০২:০৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
সবার অগোচরে আমদানী করা তরল গ্যাস এলএনজি নির্ভর হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম। এখন আর জাতীয় গ্রীডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নেই বন্দরনগরী। ফলে কোনো কারণে এলএনজিতে টান পড়লে, স্থবিরতা নামবে বাণিজ্যিক রাজধানীতে। ঘুর্ণিঝড় মোখার কারণে তিন দিন এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। এতে শঙ্কিত ব্যবসায়ী সংগঠন ও ভোক্তা অধিকার কর্মীরা। কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী বলছে, সংকটের স্থায়ী সমাধানে ঢাকা চট্টগ্রাম ডেটিকেটেড বাইপাস পাইপলাইনের বিকল্প নেই।
দৈনিক সাড়ে তিন শো মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। এর মধ্যে ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহকের জন্য ৫০ মিলিয়ন, ১২ শো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ১৭ শো কমার্শিয়াল গ্রাহকের জন্য একশো মিলিয়ন আর কাফকো, সিইউএফএল, ডিএপি, শিকলবাহা ও রাউজান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট মিলে ৭টি বাল্কের জন্য প্রয়োজন ২ শো মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। ৫ বছর আগে চাহিদা একটু কম থাকলেও তার পুরোটাই আসতো জাতীয় গ্রীড থেকে। ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানী শুরু হওয়ার পর, এখন পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর বন্দর নগরী। ফেনী, কুমিল্লার মতো আপার স্টিমে চাহিদা বাড়ায়, এখন আর দায় পড়লেও জাতীয় গ্রীড থেকে গ্যাসের জোগান নেয়া সম্ভব নয়।
ঘুর্ণিঝড় মোখার কারণে টানা তিন দিন বন্ধ রাখা হয় এলএনজি টার্মিনাল। মুহুর্তেই চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান নামে শুন্যের কোটায়।এতে বিষ্ময় জানিয়ে চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। {ফুটেজ-৩ ও সেটাফ}
চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণের দায়িত্ব কেজিডিসিএলের ওপর থাকলেও রুপান্তরিত তরল গ্যাস আমদানী করে আরপিজিসিএল, পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষন করে জিটিসিএল। এসব কোম্পানীর মধ্যে সমন্ময় না থাকায়, দুর্যোগ- দুর্বিপাকে সহসা সংকট সমাধানের পথ দেখছে না ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব।
ঘুর্ণিঝড় মোখার পরদিন এলএনজির একটি টার্মিনাল সচল হয়েছে। এখন দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাসের যোগান পাচ্ছে কর্ণফূলী গ্যাস; যা দিয়ে রোটেশন করে আবাসিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও কমার্শিয়াল গ্রাহকের চাহিদা মেটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।