আমবাগানে শামুকখোল পাখির বাসার জন্য বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ চায় জেলা প্রশাসন
- আপডেট সময় : ০৪:৩০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে আমবাগানে শামুকখোল পাখির বাসার জন্য বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ চায় জেলা প্রশাসন। সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই টাকা দেয়া হবে বাগান মালিককে। এই বরাদ্দ চেয়ে এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোনো আমবাগানকে নয় বরং স্থায়ীভাবে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরকেই পাখির অভয়ারণ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখিরা বাসা বাঁধছে চার বছর ধরে। বর্ষার শেষে এসে বাচ্চা ফুটিয়ে শীতের শুরুতে আবার নিরুদ্দেশ হয় তারা। তবে এবার বাচ্চারা উড়তে শেখেনি এখনো। এ অবস্থায় বাগান পরিচর্যার জন্য বাসাগুলো ভেঙে দিতে চান পাইকাররা। এ খবর জানাজানির পর এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকাকে ‘কেন পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না’- তা জানাতে ৩০অক্টোবর রুল জারি করেন আদালত। এরপরই দ্রুত একটি প্রকল্প প্রস্তাব কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠায় জেলা প্রশাসন।
এসব পাখি কয়েক বছর পর তাদের আবাস্থল পরিবর্তন করে। তাই এ এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণার আগে, তা ভাবার তাগিদ দিয়েছেন বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
পাখি গবেষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এ এম সালেহ রেজার মতে, এ ধরনের পাখি কোথাও স্থায়ীভাবে থাকে না। তাই অভয়ারণ্য করতে হলে হরেক পাখির ঠিকানা-পদ্মার বিস্তীর্ণ চরকেই বেছে নেয়া উচিত। জেলা প্রশাসকের জরিপ অনুযায়ী, এই গ্রামের ৩৮টি আমগাছে বাসা বেঁধেছে শামুকখোল পাখির দল।