আম্পানে খুলনার ৫টি উপজেলায় মাছ ও কাকঁড়া চাষীদের প্রায় তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষতি
- আপডেট সময় : ০৫:২৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে খুলনার কয়রাসহ ৫টি উপজেলায় ২০ হাজার মাছ ও কাকঁড়া চাষীর প্রায় তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৬ হাজার ৮৬৬টি চিংড়ী ঘের, ৭ হাজার ৮৫৬টি পুকুর এবং কুচিঁয়া-কাকঁড়ার ২৪০টি খামার। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দাবি, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১শ’ কোটি টাকা।অধিকাংশ চাষী বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও এবং দাদন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চাষীদের সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান, সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু।
করোনায় এমনিতেই ক্ষতির মুখে খুলনার কয়রাসহ ৫ উপজেলার ২০ হাজার মাছ, কাকঁড়া ও কুচিয়া চাষী। ঘূর্ণিঝড় আম্পান এসে তাদেরকে একেবারেই নিঃশ্বেষ করে দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৬ হাজার ৮৬৬টি চিংড়ী ঘের, ৭ হাজার ৮৫৬টি পুকুর এবং কুচিঁয়া-কাকঁড়ার ২৪০টি খামার । লবণ পানির কারণে, এরইমধ্যে মরে গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ।
আম্পানের হানায় দিশেহারা মৎস্য চাষীরা। তাদের দাবি, জলোচ্ছ্বাসের কারণে মৎস্যখাতে তিনশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিন কাটছে তাদের। আর অনেক ঘের ও পুকুর এখনো পানির নীচে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আর কবে মাছ চাষ করতে পারবেন-রয়েছেন তা নিয়ে দু:চিন্তায়।
মৎস্য বিভাগ হিসাব মতে, পানিতে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা,ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ৯ হাজার ১শ’ ২৬ হেক্টর চিংড়ী ঘের, পুকুর ও কাঁকড়ার খামার। শুধু কয়রা উপজেলার চিংড়ি ও সাদা মাছের ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকার। আর উপজেলা প্রশাসন বলছে, নগদ অর্থ সহায়তা বা সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার বিষয়ে কাজ করছেন তারা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বলছেন, মৎস্যচাষীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতার জন্য চেষ্টা চলছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য বলছে, খুলনার মৎস্য খাতে সব মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১শ’ কোটি টাকা।