আর্থিক মন্দার ধাক্কা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুতা শিল্পে
- আপডেট সময় : ০১:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ লেগেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুতা শিল্পে। এক সময় ঈদ কেন্দ্র করে জেলার এই পল্লীর কর্মচারীরা চরম ব্যস্ত সময় কাটাতো। কিন্তু, এবারের চিত্র ভিন্ন। উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকে। তার উপর টানা লোডশেডিংয়ে অবস্থা আরো নাজেহাল। অটো মেশিনের সাথে পাল্লা দিয়ে পারছে না হাতে জুতা তৈরীর আদি কারাখানাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে প্রাপ্ত মজুরি নিয়েও হতাশ কারিগররা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কয়েক বছর ধরে ধ্স নেমেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই শিল্প খাতে। জেলায় ৫ শতাধিক জুতার কারখানা থাকলেও বন্ধ হতে হতে দাঁড়িয়েশে ২শতে। কোন রকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
কারখানার মধ্যে ২৫ টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরী হচ্ছে লেডিস, জেন্টস, শিশুদের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা। কদর থাকলেও চামড়াসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং কাঙ্খিত অর্ডার না থাকায় ঈদ মৌসুমেও তাদের ব্যস্ততা অনেক কম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে।
আর যেটুকু অর্ডার মিলেছে লোডশেডিংয়ের কারণে তা নিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে কম মূল্যে সামগ্রী বিক্রী করতে হচ্ছে। অটোমেশন এখন হুমকি তৈরি করছে হাতে তৈরির জুতার ক্ষেত্রে। কারিগররা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় পেশা পাল্টেছেন।
পাদুকা শিল্পের এই নেতা পুরনো এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান।
১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভাল হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার চাহিদা রয়েছে।