ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত জার্মানির?
- আপডেট সময় : ১২:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
জার্মানির অত্যাধুনিক যুদ্ধের ট্যাঙ্ক লিওপার্ড ২ ইউক্রেনকে দেওয়া হতে পারে। দাবি একাধিক জার্মান সংবাদমাধ্যমের।
মঙ্গলবার জার্মানির একটি দৈনিক প্রথম জানায়, জার্মানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিওপার্ড ২ ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠানো হবে। সরকারি সূত্র উদ্ধৃতি করে এই খবর দিয়েছে ওই পত্রিকা। যদিও সরকারের নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি ওই রিপোর্টে। পরে জার্মানির আরো কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদসংস্থা ডিপিএ একই খবর প্রকাশ্যে এনেছে। তবে সরকার এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য সত্য হলে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক দিতে চলেছে জার্মানি। বস্তুত, এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা এবং বিতর্ক চলছিল। জার্মানি আদৌ এই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠাতে সম্মত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পোল্যান্ডও এই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠাতে চেয়েছিল। তা-ও সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। অবশেষে তার নিষ্পত্তি হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে বৈঠক হয় ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের। সেখানে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দ্রুত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। তারপরেই বস্তুত, জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করতে শুরু করে।
জার্মানি আদৌ ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দেবে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই টালবাহানা চলছে। ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলির কাছে অনেকদিন ধরেই যুদ্ধের ট্যাঙ্ক চাইছে। তাদের দাবি, ইউক্রেনের যে এলাকাগুলিতে রাশিয়ার সেনা ঢুকে বসে আছে, তাদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কের প্রয়োজন। কিন্তু জার্মানি এতদিন পর্যন্ত ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক দিতে সম্মত হচ্ছিল না। কারণ ট্যাঙ্ক আত্মরক্ষার যুদ্ধসামগ্রী নয়, আক্রমণের সামগ্রী।
জার্মানির তৈরি ট্যাঙ্ক পোল্যান্ডের হাতেও আছে। পোল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরেই সেই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দিতে চায়। কিন্তু এই ট্যাঙ্ক দিতে হলে ন্যাটো এবং জার্মানির ছাড়পত্র লাগবে। এতদিন তা-ও মিলছিল না। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর সেই জট কেটেছে বলেই মনে হচ্ছে। জার্মানি অন্তত এক কোম্পানি লিওপার্ড ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পোল্যান্ডের ক্ষেত্রেও ট্যাঙ্ক পাঠানোয় আর কোনো বাধা থাকল না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরকারের তরফে এখনো এবিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট বিবৃতি জারি করা হয়নি।