ইউক্রেনের বাজারে রাশিয়ার হামলায় মৃত ১৭
- আপডেট সময় : ১২:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৩৬ বার পড়া হয়েছে
অন্তত ১৭ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলেনস্কি জানিয়েছেন। কিয়েভ গেছেন ব্লিংকেন।
বুধবার পূর্ব ইউক্রেনে অতর্কিত মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর জেরে দনেৎস্ক অঞ্চলের একটি বাজারে বিরাট বিস্ফোরণ হয়। এদিন বিকেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ঘটনায় ১৬ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হয়েছে।
এদিকে এদিনই ঝটিতি সফরে কিয়েভে পৌঁছেছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ব্লিংকেনের সফরের জন্যই রাশিয়ার এই হামলা বলে কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করছেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, ”সন্ত্রাসী রাশিয়ার হামলায় বহু বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ আহত। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের কেউ দোকানে গেছিলেন, কেউ ওষুধ কিনছিলেন। তাদের কারও কোনো দোষ ছিল না।” সোশ্যাল মিডিয়াতেও এবিষয়ে লিখেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলিখেছেন, রাশিয়াকে এর ফল ভুগতে হবে।
একাধিক দেশ এবং সংগঠন রাশিয়ার এই হামলার সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘের ইউক্রেন বিষয়ক অফিসার ডেনিস ব্রাউন বলেছেন, ”অসংখ্য সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানো হয়েছে। নারী এবং শিশুরা আহত হয়েছেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই হামলার প্রতিবাদ করেছে। মস্কো ইউক্রেনের সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যারা এই আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইইউ।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক টুইট করে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিকতার উপর এই হামলা।’ জার্মানি ইউক্রেনের পাশে আছে বলে আবার জানিয়েছেন বেয়ারবক।
ব্লিংকেনের সফর
এদিকে কিয়েভে পৌঁছে জেলেনস্কির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। পরে এক বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তিনি। দুই দিনের সফরে ইউক্রেন গেছেন ব্লিংকেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার সফরের কথা কেউ জানতো না।
অ্যামেরিকার জানিয়েছে, এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হবে সামরিক খাতে। বিশেষ করে অ্যাব্রামস ট্যাঙ্কের জন্য গোলা-বারুদ কেনা হবে। বাকি টাকার একটা বড় অংশ মানবিক কাজে ব্যবহার করা হবে।
অ্যামেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ১২০ মিলিমিটারের কার্তুজ দেওয়া হবে ট্যাঙ্কের জন্য। যে কার্তুজে ইউরেনিয়াম ডিপ্লেট করা থাকবে। এই কার্তুজ যেখানে ফাটবে সেখানে বাতাস বিষাক্ত হয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এই ধরনের কার্তুজ ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক আছে।
বস্তুত, অ্যামেরিকার এই ঘোষণার পরেই রাশিয়া এর প্রতিবাদ করেছে। ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাসের তরফে একটি কড়া মন্তব্য করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকা কেবল ইউক্রেনকে সাহায্য করছে তাই নয়, রাশিয়ার একটি গোটা প্রজন্মকে খতম করার চেষ্টা করছে।