ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে সরগরম বিরল উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা

- আপডেট সময় : ০২:১৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৬২৬ বার পড়া হয়েছে
৩১ জানুয়ারির ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে সরগরম দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা। ইভিএমে ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা খুশি থাকলেও, শঙ্কায় স্বতন্ত্ররা। একই দিনে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৮টি ইউপি নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে পোষ্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ জানুয়ারি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রানিপুকুর, ধর্মপুর, ভান্ডারা, ধামাইরসহ ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম এখন এসব ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল। বিভিন্ন মার্কার পোস্টারে ছেয়ে গেছে এলাকা। ভোটাররা বলছেন, সৎ, যোগ্য ও পরীক্ষিত ব্যক্তিকেই ভোট দেবেন তারা।
বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় তাদের নানামুখী অভিযোগের তীর সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামকে শহর করার দর্শনে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এদিকে, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান নির্বাচন কর্মকর্তা।
বিরল উপজেলার ৬টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯২ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৭৩ জন। ইউনিয়নগুলোর ৫৭ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দেবেন- ৫৬ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ভোটার এবং ৫৪ হাজার ২০৯ জন মহিলা ভোটার।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নির্বাচনের বাকী আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে প্রচারণা। পোষ্টারে-পোষ্টারে ছেয়ে গেছে বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, চায়ের দোকান ও বসতবাড়ি। তবে বেশিরভাগ প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও প্রচারণায় মানছেন না আচরণবিধি।
চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি প্রচারণায় পিছিয়ে নেই মেম্বার প্রার্থীরও। উপজেলার ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২ জন ভোটারের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এলাকার উন্নয়নসহ মাদক প্রতিরোধে সক্ষম প্রার্থীদেরই বেছে নিতে চান সাধারণ ভোটাররা। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পুলিশ সুপার। সাদুল্যাপুর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৫০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।