ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো থেকে অর্ডার আসতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস গুলোতে
- আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো থেকে নতুন অর্ডার আসতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে। করোনার কারণে পুরনো রপ্তানী আদেশ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিলো তাও কেটে গেছে ৮০ শতাংশ গার্মেন্ট কারখানায়। মালিকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদের সচেতন করে কারখানা চালাতে পারলে ফের ঘুরে দাঁড়াবে তৈরী পোশাক খাত। তবে করোনা আতঙ্ক এখনো পিছু না ছাড়ায় উদ্বিগ্ন বিজিএমইএ।
চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় করোনার প্রদুর্ভাব। এতে বাংলাদেশের তৈরী পোষাক খাতের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে নেমে আসে স্থবিরতা। নতুন অর্ডার তো দুরের কথা একের পর এক বাতিল কিম্বা স্থগীত হতে থাকে পুরোনো অর্ডার। ফলে হুমকির মুখে পড়ে তৈরী পোষাক খাতের ভবিষ্যত। বিদেশের স্থবিরতার ছবি ঢাকা থেকে সংযুক্ত হবে
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে বন্ধ করার পর অনেক কারখানা ফের খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে। দুমাস না পেরোতেই আসতে শুরু করেছে সুখবর। করোনাকে মোকাবিলা করে ঘুরে দারানো দেশগুলো নতুন অর্ডারের পাশাপাশি পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছে। ফলে লকডাউনের মধ্যেও কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রামের অন্তত ৯০ শতাংশ গার্মেন্ট কারখানা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তৈরী পোষাক খাতের জন্য লকডাউন শিথিল করে উদারতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। এখন গার্মেন্ট মালিকরা অন্তরিকতার সাথে শ্রমীক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে এলে ফের ঘুরে দাড়াবে তৈরী পোষাক খাত।
তবে নতুন অর্ডার এলেও তা নিয়ে এখনো সন্তুষ্টু নন গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তাদের দাবি প্রবৃদ্ধি আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে অনেক। তাই এই সময়টাতে সরকারকে পাশে চায় তারা।
তৈরী পোষাক খাতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক দেশ এখনো করোনাকালের স্থাবিরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এই বাস্তবতায় সতর্কতার সাথে গার্মেন্টস পরিচালনা করায় এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।