বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এটা সংবিধানেও লেখা নাই : ফারুক খান
- আপডেট সময় : ০৪:১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৭৬৮ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন সঠিক পথে এগুচ্ছে বলে মত আওয়ামী লীগের। ইসির সঙ্গে সংলাপ শেষে দলের নেতা ফারুক খান বলেন, বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে সংবিধানে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ১৩ দলের সঙ্গে সংলাপে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা অনুরোধ জানান, মতৈক্য না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করতে। অন্যদিকে ভোটের অনুকূল পরিবেশ গড়তে জনমতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ারও দাবি অনেকের।
এ মাসের মাঝামাঝি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল দেবে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ ডিসেম্বরের শেষে কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন ।
নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শেষবারের মতো নিবন্ধিত ৪৪ টি রাজনৈতিক দলকে মতবিনিময়ের আহবান করে ইসি। এতে আওয়ামী লীগসহ ২২টিকে সকালে ও বিএনপিসহ ২২টিকে বিকেলে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানায় সংস্থাটি। সকালে ১৫টি দল আসার কথা জানালেও সংলাপে অংশ নেয় ১৩টি দল। আসেনি এলডিপি, বিজেপি, সিপিবি, কল্যাণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বিএমএল, মুসলিম লীগ, খেলাফত মজলিশ ও গণতন্ত্রী পার্টি। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেল প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল অব ফারুক খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মতবিনিময় শেষে অংশ নেয়া দলের প্রতিনিধিরা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচনে বর্তমান কমিশন পদক্ষেপ নিলেও আওয়ামী লীগ তা হতে দেবে না। কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের সামনের কাযক্রম দেখে নির্বাচন অংশ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান।
নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার কথা জানান কোনো রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক সরকারের অধিনে নির্বাচন ভাল হবে বলে জানান তারা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্ণেল ফারুক খান বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এটা সংবিধানেও লেখা নাই। বর্তমান কমিশনের অধিনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অরাজকতার নির্বাচন করেনি। কিন্তু বিএনপির অরাজকতার রাজনীতি শুরু করেছে। ইসির চিঠি না পাওয়া তাদের জন্য লজ্জার বলে জানান তিনি।
সকালে ৯টি দল অংশ নিলেও বিএনপি ও সমমনা বেশ কয়েকটি দল নির্বাচন কমিশনের এই আলেচনাকে বর্জন করেছে।