ঈদের যানজট নিরসনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় দুই কিলোমিটারের রোড ডিভাইডার
- আপডেট সময় : ০৫:০১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
- / ১৭১৩ বার পড়া হয়েছে
ঈদের যানজট নিরসনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় দুই কিলোমিটারের রোড ডিভাইডার করা হয়েছে। রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা না রেখে অপরিকল্পিতভাবে এই ডিভাইডার তৈরিতে চন্দ্রা ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে রয়েছে। বাস যাত্রীদের যত্রতত্র নামিয়ে দেয়ায় ডিভাইডারের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ, ঘটছে দুর্ঘটনা। আবার এই সমস্যায় আগের তুলনায় যাত্রী কমায় লোকসান গুণতে হচ্ছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের। তবে ডিভাইডার হওয়ায় যানজট কমে আসবে বলে দাবি পুলিশ বিভাগের।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে উত্তরাঞ্চলের ১১৭টি রুটের প্রধান হাব– ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ তৈরি করছে দুই কিলোমিটারব্যাপী রোড ডিভাইডার। যাত্রী ও এলাকার সাধারণ মানুষের নিত্য রাস্তা পারাপারের কথা মাথায় না রেখে শুধু দুই ঈদের সময়ে ২ সপ্তার যানজট নিরসন করতে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে রোড ডিভাইডার। ফলে ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে কমেনি যানজট। বাসযাত্রীদের যত্রতত্র নামিয়ে দেয়ায় ডিভাইডারের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ। আবার রাস্তা পার হতে দুই কিলোমিটার ঘুরপথে হেঁটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও পথচারীরা।
রোড ডিভাইডার হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত যানজটে পড়ে বসে থাকতে হয় হচ্ছে চালকদের। আবার এতে আগের তুলনায় যাত্রী কমায় লোকসান গুণতে হচ্ছে চালক ও মালিকদের। তবে সড়ক বিভাগের কোন ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলেও পুলিশ বলছে, ডিভাইডার হওয়ায় তাদের জন্য ভালো হয়েছে। ভিআইপি লাইন দিয়ে ভিআইপি গাড়িগুলো চলবে, লোকাল বাসগুলো সার্ভিস লাইনের ভেতরে থাকবে। ফলে যানজট কম হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। অপরিকল্পিত রোড ডিভাইডার অপসারণের দাবি জানিয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাস্তা ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকরা।