উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসা শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন
- আপডেট সময় : ০৪:১৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৭৯ বার পড়া হয়েছে
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। পাল্লা দিয়ে বইছে হিমেল বাতাস। পৌষের শুরু থেকে প্রকৃতির এমন খেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুড়িগ্রামের অবস্থা এখন একইরকম। শৈতপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে এলাকা।গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টে আছেন দরিদ্ররা।
দেশের উত্তরাঞ্চলের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলা পঞ্চগড়। শহর থেকে পর্বতশৃঙ্গ হিমালয় খুব নিকটে হওয়ায় তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। একই সাথে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলার ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই কাজে বেরুতে না পেরে দিন কাটাচ্ছেন অভাব অনটনে।
ঠান্ডা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ রক্ষা পেতে ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে অসহায় মানুষ।
এদিকে গত দশদিন ধরে জেলায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওঠা-নামা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানায়, তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় গত কয়েকদিনে শীত জনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এমন অবস্থায় শীতে মোটা কাপড় পরিধান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।
জেলার শীতার্ত মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ২১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জেলা প্রশাসকের।
দিনাজপুরের দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশায় না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।এখানেও বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ।
দুই দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩/৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গেছে। জেঁকে বসেছে শীত। আজ তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দূর্ভোগে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ। সন্ধা নামার সাথে সাথেই নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র মানুষজন। হাসপাতালেও বাড়ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গাইবান্ধায়ও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষ। সরকারি ও বেসকাররিভাবে কিছু-কিছু এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।