উপকূলে আঘাত হেনে সিত্রাং স্থল নিম্নচাপে পরিণত, ছয় জেলায় নিহত ১০
- আপডেট সময় : ০২:১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
- / ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৪ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছাসে ডুবেছে চট্টগ্রামের নিচু এলাকাগুলো। বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের সবচে’ বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। ব্যবসায়ীদের দাবি- ঝড়ের পুর্বাভাস পেলেও এতবড় জলোচ্ছাস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়নি। ফলে মুহুর্তেই পানিতে ডুবে অন্তত ২শ’ কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে ঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশন। তবে ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার জের কাটতে অন্তত ৩ দিন সময় লাগবে ১৯টি অফডকে।
রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে শান্ত হয়েছে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং। কিন্তু লণ্ডভণ্ডের চিহ্ন রেখে গেছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রশাসনের বাড়তি সতর্কতা আর গণমাধ্যমের ক্লান্তিহীন প্রচারের কারণে ঝড়ের তীব্রতায় খুব বেশি ক্ষতি না হলেও উচ্চ জলোচ্ছাসে অন্তত ২শো কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে খাতুনগঞ্জে।
দেশের সবচে’ বড় এই পাইকারি বাজারের কয়েক শ’ দোকান ও গুদাম এখনো পানির নিচে। পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে পেয়াজ, রসুন, আদা, মশলা, নারকেলসহ যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। ব্যবসায়ীদের দাবি, জলোচ্ছাসের সতর্কতা না থাকায় এতো বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
এদিকে ঘুর্ণিঝড়ের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বন্দর। ঝড়ের হাত থেকে বন্দর চ্যানেলকে নিরাপদ রাখতে সোমবার যেসব জাহাজ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল গভীর সাগরে, মঙ্গলবার সকালেই তা আবার জেটিতে ফিরেছে। পণ্য ওঠা-নামা, ডেলিভারি সবই শুরু হয়েছে সকাল থেকে।
তবে ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকায় অন্তত ৫ হাজার কন্টেইনারের জট তৈরী হয়েছে ১৯টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডকে। যা স্বাভাবিক হতে অন্তত ৩ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিকডা।
এদিকে ঝড় ও জলোচ্ছাসে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বাশখালী, আনোয়ারা ও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা। নষ্ট হয়েছে কাচা ঘরবাড়ী ও কৃষিফসল।