০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

উৎস মুখ ভরাট রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হচ্ছে নরসুন্দা নদী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / ১৭৭৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উৎস মুখ ভরাট রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নরসুন্দা নদী। দীর্ঘদিন পানি প্রবাহ না থাকায় এ নদীর কোন অংশ গোচারণ ভূমি, কোন অংশ এখন ময়লার ভাগাড়। পরিবেশবাদীরা বলছেন, নদী খননের নামে এমন তামাশা সরকারের টাকা অপচয় ও জনদুর্ভোগ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। আর স্থানীয়দের দাবি, এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দাকে বাঁচাতে উৎপত্তিস্থল খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে দুটি ধারায় উৎপত্তি নরসুন্দা নদীর। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীটি উৎপত্তিস্থল থেকে ৬৯ কিলোমিটার দৃশ্যমান থাকলেও নেই পানি প্রবাহ। আশির দশকে হোসেনপুর উপজেলাকে বন্যার মত দুর্যোগের সময় ব্রহ্মপুত্র নদের উপচেপড়া পানি থেকে বাঁচাতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে সরকার। এ বাঁধে নরসুন্দা নদীর উৎপত্তিস্থলের এক কিলোমিটার দূরেই বন্ধ হয়ে যায় ।

পরে নরসুন্দার পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে, দুটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলেও বাড়েনি পানি প্রবাহ। এতে ভরাট হয়ে গেছে নদীর উৎপত্তিস্থল। স্লুইসগেট সমস্যার সমাধান না করে এবং উৎস মুখ ভরাট রেখেই দ্বিতীয়বার খনন কাজ চলছে । এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় বলছেন পরিবেশবাদিরা।

উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার খননে আইনগত সমস্যা রয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী।

নরসুন্দা নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে উৎপত্তিস্থলের ভূমি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।

এ নদীতে পানি প্রবাহ হলে, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সাথে সারাদেশের জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে । পাশাপাশি কয়েক লাখ হেক্টর জমিতে নিশ্চিত হবে সেচ ব্যবস্থা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

উৎস মুখ ভরাট রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হচ্ছে নরসুন্দা নদী

আপডেট সময় : ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

উৎস মুখ ভরাট রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নরসুন্দা নদী। দীর্ঘদিন পানি প্রবাহ না থাকায় এ নদীর কোন অংশ গোচারণ ভূমি, কোন অংশ এখন ময়লার ভাগাড়। পরিবেশবাদীরা বলছেন, নদী খননের নামে এমন তামাশা সরকারের টাকা অপচয় ও জনদুর্ভোগ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। আর স্থানীয়দের দাবি, এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দাকে বাঁচাতে উৎপত্তিস্থল খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে দুটি ধারায় উৎপত্তি নরসুন্দা নদীর। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীটি উৎপত্তিস্থল থেকে ৬৯ কিলোমিটার দৃশ্যমান থাকলেও নেই পানি প্রবাহ। আশির দশকে হোসেনপুর উপজেলাকে বন্যার মত দুর্যোগের সময় ব্রহ্মপুত্র নদের উপচেপড়া পানি থেকে বাঁচাতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে সরকার। এ বাঁধে নরসুন্দা নদীর উৎপত্তিস্থলের এক কিলোমিটার দূরেই বন্ধ হয়ে যায় ।

পরে নরসুন্দার পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে, দুটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলেও বাড়েনি পানি প্রবাহ। এতে ভরাট হয়ে গেছে নদীর উৎপত্তিস্থল। স্লুইসগেট সমস্যার সমাধান না করে এবং উৎস মুখ ভরাট রেখেই দ্বিতীয়বার খনন কাজ চলছে । এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় বলছেন পরিবেশবাদিরা।

উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার খননে আইনগত সমস্যা রয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী।

নরসুন্দা নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে উৎপত্তিস্থলের ভূমি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।

এ নদীতে পানি প্রবাহ হলে, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সাথে সারাদেশের জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে । পাশাপাশি কয়েক লাখ হেক্টর জমিতে নিশ্চিত হবে সেচ ব্যবস্থা।