০৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন ও রপ্তানীমুখী শিল্পবান্ধব বাজেট তৈরীর তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার কারণে, টানা দুই বছর অবহেলিত খাতে এবার বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে এবং সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতিতে, বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন ও রপ্তানীমুখী শিল্পবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। না হলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এগুলোই হবে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

২০২০ সাল থেকে করোনা মোকাবিলাকে প্রাধান্য দিয়েই বাজেট প্রণয়ন করা হয়। জীবন ও জীবিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে উন্নয়নমুলক অনেক খাতকেই উপেক্ষা করে সরকার। ফলে পদ্মা সেতু, কর্ণফূলী নদীর তলদেশে কর্ণফূলী টানেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে। অথচ ঋণের টাকা শোধ করার সময় এগিয়েছে। তাই আসছে বাজেটে এসব খাতকে গুরত্ব দিয়ে দ্রুত তা জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার পর যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল। এর বাইরে অর্থনৈতিক আধিপত্য ধরে রাখতে নানান কারসাজি আছে বিশ্ব মোড়লদের। জ্বালানী ও ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতা, কথায় কথায় উৎস দেশের চাল, ডাল, পেয়াজসহ খাদ্যশষ্য রপ্তানী বন্ধের সিদ্ধান্ত; দেশের ভেতরের মুদ্রাস্ফীতিকে অসহনীয় করে তুলেছে। তাই খাদ্য নিরাপত্ত্বাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবারের বাজেটে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আকার বড় দেখাতে গিয়ে বাজেটের বড় একটি অংশই ঘাটতি দেখানো হয়; যা অধরাই থেকে যায় প্রতিবছর। তাই ঘাটতি যোগ করে বড় বাজেট ঘোষণার চেয়ে স্বয়ং সম্পুর্ণ বাজেটই করা শ্রেয়; যেখাবে উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানী বান্ধব নীতির প্রতিফলন ঘটবে।

দারিদ্র বিমোচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা অর্থনীতিবিদদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন ও রপ্তানীমুখী শিল্পবান্ধব বাজেট তৈরীর তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

করোনার কারণে, টানা দুই বছর অবহেলিত খাতে এবার বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে এবং সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতিতে, বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন ও রপ্তানীমুখী শিল্পবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। না হলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এগুলোই হবে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

২০২০ সাল থেকে করোনা মোকাবিলাকে প্রাধান্য দিয়েই বাজেট প্রণয়ন করা হয়। জীবন ও জীবিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে উন্নয়নমুলক অনেক খাতকেই উপেক্ষা করে সরকার। ফলে পদ্মা সেতু, কর্ণফূলী নদীর তলদেশে কর্ণফূলী টানেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে। অথচ ঋণের টাকা শোধ করার সময় এগিয়েছে। তাই আসছে বাজেটে এসব খাতকে গুরত্ব দিয়ে দ্রুত তা জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার পর যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল। এর বাইরে অর্থনৈতিক আধিপত্য ধরে রাখতে নানান কারসাজি আছে বিশ্ব মোড়লদের। জ্বালানী ও ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতা, কথায় কথায় উৎস দেশের চাল, ডাল, পেয়াজসহ খাদ্যশষ্য রপ্তানী বন্ধের সিদ্ধান্ত; দেশের ভেতরের মুদ্রাস্ফীতিকে অসহনীয় করে তুলেছে। তাই খাদ্য নিরাপত্ত্বাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবারের বাজেটে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আকার বড় দেখাতে গিয়ে বাজেটের বড় একটি অংশই ঘাটতি দেখানো হয়; যা অধরাই থেকে যায় প্রতিবছর। তাই ঘাটতি যোগ করে বড় বাজেট ঘোষণার চেয়ে স্বয়ং সম্পুর্ণ বাজেটই করা শ্রেয়; যেখাবে উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানী বান্ধব নীতির প্রতিফলন ঘটবে।

দারিদ্র বিমোচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা অর্থনীতিবিদদের।