একসময় বিপুল পরিমাণ শুটকি রফতানি হলেও এখন বদলে গেছে দৃশ্যপট
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
একসময় বিপুল পরিমাণ শুটকি রফতানি হলেও এখন বদলে গেছে দৃশ্যপট। রফতানির বদলে ক্রমাগত বাড়ছে আমদানি। একারণে ভরা মৌসুমেও প্রাণহীন চট্টগ্রামের শুটকিপল্লীগুলো। দেড়শোটি শুটকি মাচাইয়ের মধ্যে অন্তত ৩০টিতে মাছ শুকানো বন্ধ। সচলগুলোতেও ব্যস্ততা নেই আগের মতো। কারখানা মালিকরা বলছেন, কম দামে নিম্নমানের শুটকি আমদানি বাড়ায় মার খাচ্ছে দেশীয় মাচাই। আর আমদানীকারকরা বলছেন, চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের বাকুলিয়া বাস্তুহারা শুটকিপল্লীর চিত্র এটি। খাতা কলমে এখানে দেড়শোটি মাচাই আছে। কিন্তু মাছ শুকানো হচ্ছে ১২০টিতে। বাকিগুলো বন্ধ। যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও লোকশান গুনছে প্রতিনিয়তো। তাই বেশ ক’বছর ধরেই সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করতে পারছে না একটি মাচাইও।
ছুড়ি, লইট্যা, ফাইস্যা, ভেটকি, চিংড়ি, রূপচাঁদা, কোড়াল কিংবা হাঙ্গরসহ সব ধরণের সামুদ্রিক মাছের শুটকি বানানোর এই কারখানাগুলো চলছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু কাজ কমে আসায় হতাশ শ্রমিকরাও। ভোজনরশিক বাঙ্গালীর খাবারের সঙ্গে দেশের ফিডমিলগুলোর কাচাঁমালের বড় অংশের যোগান দেয় এই শুটকিপল্লীগুলো। সাম্প্রতি বিদেশী শুটকির আমদানী বাড়ায় পুরো খাতটিই আজ হুমকির মুখে বলে জানান মাচাই মালিকরা।
আর আমদানীকারকরা বলছেন, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও চীনসহ ৭টি দেশ থেকে শুটকি আসছে বাংলাদেশে। বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমদানীর বিকল্প নেই। শুটকি ব্যবসায়ী ও কাস্টমসের এক পরিসংখ্যন বলছে, ২০০১-২ অর্থবছরে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ৪ হাজার মেট্রিকটন শুটকি রফতানি করে বাংলাদেশ। আর গেল ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রফতানি হয় ১০০ টনেরও কম। বরং ওই অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে অন্তত দেড় হাজার মেট্রিকটন শুটকি।