এক হাজার শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে ‘ডাভ’-‘টিচ ফর বাংলাদেশ’
- আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
- / ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে
ইউনিলিভারের ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি) এর কর্মসূচি ‘ডাভ ডে’ গত সপ্তাহে ঢাকা ও চট্টগ্রামজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর ৪০ জন কর্মী ১ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ‘টিচ ফর বাংলাদেশ (টিএফবি)’ এর শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্কশপ এর আয়োজন করেন, যেখানে তাদের আত্ম-মর্যাদাবোধ ও শারীরিক গঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হবার গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো হয়।
এই অনুষ্ঠানের বাস্তবায়ন অংশীদার হিসেবে ছিল ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’, এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যেটি বাংলাদেশের সকল শিশুর জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউনিলিভারের পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড ‘ডাভ’, একটি সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট পরিচালনা করছে, যা এ ধারণাটি পৌঁছে দিতে চায় যে- উদ্বেগের নয়, সৌন্দর্য হওয়া উচিত আত্মবিশ্বাসের উৎস এবং এ প্রকল্পের লক্ষ্য আত্মবিশ্বাসী আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখা, যাতে তারা তাদের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে। ‘ডাভ ডে’ উপলক্ষে স্কুলে স্কুলে ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশের কর্মীদের একটি ট্রেনিং সেশনে অংশ নিতে হয়েছিল, যেটির আয়োজন করে টিএফবি এর নিজস্ব প্রোগ্রাম স্পেশালিস্টরা।
ট্রেনিং সেশনে ‘কনফিডেন্টমি’ মডিউলের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যেটি ২০২১ সালে ইউনিলিভার ও টিএফবি যৌথভাবে তৈরি ও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। দুইটি অঞ্চলে ওয়ার্কশপটি আয়োজন করা হয় এবং এতে ব্যক্তির বাহ্যিক অবয়বের কারণে সৃষ্ট সামাজিক চাপ ও এর ফলে আত্ম-মর্যাদায় প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা হয়। এছাড়া, আলোচনায় আরো উঠে আসে সৌন্দর্যের ধারণাগত বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব, যেটির ফলে অনেককে কৃত্রিম সৌন্দর্য গ্রহণ করতে দেখা যায়।
পারস্পরিক আলাপচারিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুধাবন করতে পারে, অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে বরং নিজের মেধা ও স্বকীয়তাকে গুরুত্ব দিয়েই তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে ও তৈরি করতে পারে আত্ম-মর্যাদাবোধ। সত্যিকারের সৌন্দর্য উপলব্ধি ও এ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আত্ম-মর্যাদাবোধ এর উন্নয়নে শিক্ষার্থীরা কিছু ‘রোল প্লে’ করে ও অন্যান্য আয়োজনে অংশ নেয়। সেশনের শেষে, সব শিক্ষার্থী অন্যের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশ নেবার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড ওয়েলবিং ও পার্সোনাল কেয়ার-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর আফজাল হাসান খান বলেন, “প্রতি দশজনের মধ্যে আটজন মেয়ে তাদের বাহ্যিক অবয়ব নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন থাকে যে, তারা এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েই অংশ নিতে চায় না, এবং এ চিত্রটা আমরা বদলাতে চাই। টিম মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে এই ‘ডাভ ডে’তে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে-তরুণী ও তরুণরা যাতে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে তাদের নিজেদেরকে বুঝতে পারা ও উপভোগ করার মাধ্যমেই বেড়ে উঠে। এ কারণেই আমরা তাদের মধ্যে নিজেদের সম্ভাবনা অনুধাবন ও আত্ম-মর্যাদাবোধ তৈরিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
‘টিচ ফর বাংলাদেশ’-এর ভারপ্রাপ্ত সিইও ইজমা রহমান বলেন, “টিচ ফর বাংলাদেশ, বিশ্বাস করে প্রতিটি শিশুই ভালোবাসা, মর্যাদা ও প্রগাঢ় মমতার দাবিদার। ডাভ ডে উপলক্ষে ইউনিলিভারের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে তথাকথিত সৌন্দর্যের ধারণা সামাজিকভাবে আরোপিত এবং তারা তাদের মতোই করেই সুন্দর ও ভালোবাসার যোগ্য। টিএফবি এর লক্ষ্য শিশুদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সহযোগিতা করা। দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ স্বপ্ন পূরণের অংশ হিসেবে, এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
প্রায় ৬০ বছর ধরে ‘ডাভ’ সৌন্দর্যকে উদ্বেগ নয় বরং আত্মবিশ্বাসের উৎস হিসেবে বিবেচনার জন্য উৎসাহ জুগিয়ে আসছে। দ্য ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ ২০০৪ সালে বৈশ্বিকভাবে যাত্রা শুরু করে, যা এই প্রেক্ষাপটেরই বর্ধিত রূপ। আত্মবিশ্বাসী আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ডাভ’ বাংলাদেশে ৫০ লক্ষ শিশুকে শারীরিক গঠনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করা এবং তাদের মাঝে আত্ম-মর্যাদাবোধ তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।