০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এখন ছাড় দিচ্ছি, ডিসেম্বরে ছেড়ে দেব না: কাদের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপিকে আগামী ডিসেম্বরে আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি মিছিলপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন ছাড় দিচ্ছি। ডিসেম্বরে ছেড়ে দেব না। ডিসেম্বরে ছাড়ব না। ডিসেম্বরে হবে ফাইনাল খেলা।’

আজ বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন ওবায়দুল কাদের। বিকেলে ঢাকায় ফিরে অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তি সমাবেশে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির গণসমাবেশের দিন নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে গণমাধ্যমে একচেটিয়া যাতে বিএনপির সমাবেশ প্রচারিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।
বাড্ডার সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের মাসে বিএনপির থাকবে না। এই রাজপথ আওয়ামী লীগের রাখব; মুক্তিযুদ্ধের রাজপথ, বিজয়ের মাসের রাজপথ, বিজয়ের চেতনার রাজপথ।’

বিএনপিকে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে ডিসেম্বর মাস। আপনারা নাকি ওই মাসে আমাদের হটিয়ে, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে, খালেদা জিয়াকে নিয়ে খোমেনি স্টাইলে বিপ্লব করবেন ঢাকার রাজপথে? জনতার শক্তির সামনে এই রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।’

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ভুলে যান। নির্বাচনে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামান। এটি সর্বোচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের কোনো দোষ নেই। তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে।’
ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোকাবিলা হবে। আন্দোলনে হবে। নির্বাচনে হবে। খেলা হবে ভোট চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। খেলা হবে খুনিদের বিরুদ্ধে, ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির বিরুদ্ধে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘খেলা’ হবে শব্দটি ওবায়দুল কাদের বারবার বলছেন। রাজপথের পাশাপাশি তিনি জাতীয় সংসদেও বলেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, সরকারের পদত্যাগের পর নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে।

ঢাকার শান্তি সমাবেশে বিশাল জনস্রোত হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে এসে বরিশালের কথা ভাবছি।’
বিএনপি টাকাপয়সা দিয়ে কয়েক দিন আগ থেকেই লোক জমায়েত করেছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ছয় জেলার লোক টাকাপয়সা দিয়ে দু–চার দিন আগ থেকে বরিশালে জমায়েত করেছেন। আর এখানে ছয় থানার লোক। বরিশালের চেয়েও দ্বিগুণ লোক এখানে।’

দেশব্যাপী বিএনপি নৈরাজ্য করছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় শান্তি মিছিলপূর্ব সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশের কারণে শনিবার বেলা দুইটার পর থেকে আওয়ামী লীগের রামপুরা–কুড়িল সড়কের দুপাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুড়িল মুখী যানবাহন হাতিরঝিল হয়ে বিকল্প রাস্তা, আর রামপুরামুখী যানবাহন নতুন বাজার থেকে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করে।
মধ্য বাড্ডার প্রধান সড়কে খোলা ট্রাকে দক্ষিণমুখী করে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চের সামনে ও পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে মেরুল বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে অবস্থান নেন।

জমায়েত সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার সামনে মাথা কোথায় জানি না। দেখছি আর দেখছি। আমার পেছনে আমেরিকান দূতাবাস পর্যন্ত। লোক আর লোক। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। কিন্তু বিদেশিরাই এখানে থাকে। তারা দেখুন কার কত শক্তি।’গণমাধ্যমের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত চাই না। আমার ডিউ কভারেজ চাই। আজকের এই জমায়েত ছয় থানার। এটি ছয় জেলার চেয়েও বেশি। এসে আপনারা (বিএনপি) দেখে যান।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন, আবদুল কাদের খান, দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার প্রমুখ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এখন ছাড় দিচ্ছি, ডিসেম্বরে ছেড়ে দেব না: কাদের

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

বিএনপিকে আগামী ডিসেম্বরে আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি মিছিলপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন ছাড় দিচ্ছি। ডিসেম্বরে ছেড়ে দেব না। ডিসেম্বরে ছাড়ব না। ডিসেম্বরে হবে ফাইনাল খেলা।’

আজ বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন ওবায়দুল কাদের। বিকেলে ঢাকায় ফিরে অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তি সমাবেশে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির গণসমাবেশের দিন নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে গণমাধ্যমে একচেটিয়া যাতে বিএনপির সমাবেশ প্রচারিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।
বাড্ডার সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের মাসে বিএনপির থাকবে না। এই রাজপথ আওয়ামী লীগের রাখব; মুক্তিযুদ্ধের রাজপথ, বিজয়ের মাসের রাজপথ, বিজয়ের চেতনার রাজপথ।’

বিএনপিকে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে ডিসেম্বর মাস। আপনারা নাকি ওই মাসে আমাদের হটিয়ে, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে, খালেদা জিয়াকে নিয়ে খোমেনি স্টাইলে বিপ্লব করবেন ঢাকার রাজপথে? জনতার শক্তির সামনে এই রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।’

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ভুলে যান। নির্বাচনে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামান। এটি সর্বোচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের কোনো দোষ নেই। তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে।’
ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোকাবিলা হবে। আন্দোলনে হবে। নির্বাচনে হবে। খেলা হবে ভোট চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। খেলা হবে খুনিদের বিরুদ্ধে, ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির বিরুদ্ধে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘খেলা’ হবে শব্দটি ওবায়দুল কাদের বারবার বলছেন। রাজপথের পাশাপাশি তিনি জাতীয় সংসদেও বলেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, সরকারের পদত্যাগের পর নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে।

ঢাকার শান্তি সমাবেশে বিশাল জনস্রোত হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে এসে বরিশালের কথা ভাবছি।’
বিএনপি টাকাপয়সা দিয়ে কয়েক দিন আগ থেকেই লোক জমায়েত করেছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ছয় জেলার লোক টাকাপয়সা দিয়ে দু–চার দিন আগ থেকে বরিশালে জমায়েত করেছেন। আর এখানে ছয় থানার লোক। বরিশালের চেয়েও দ্বিগুণ লোক এখানে।’

দেশব্যাপী বিএনপি নৈরাজ্য করছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় শান্তি মিছিলপূর্ব সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশের কারণে শনিবার বেলা দুইটার পর থেকে আওয়ামী লীগের রামপুরা–কুড়িল সড়কের দুপাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুড়িল মুখী যানবাহন হাতিরঝিল হয়ে বিকল্প রাস্তা, আর রামপুরামুখী যানবাহন নতুন বাজার থেকে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করে।
মধ্য বাড্ডার প্রধান সড়কে খোলা ট্রাকে দক্ষিণমুখী করে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চের সামনে ও পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে মেরুল বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা ও শাহজাদপুরে অবস্থান নেন।

জমায়েত সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার সামনে মাথা কোথায় জানি না। দেখছি আর দেখছি। আমার পেছনে আমেরিকান দূতাবাস পর্যন্ত। লোক আর লোক। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। কিন্তু বিদেশিরাই এখানে থাকে। তারা দেখুন কার কত শক্তি।’গণমাধ্যমের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত চাই না। আমার ডিউ কভারেজ চাই। আজকের এই জমায়েত ছয় থানার। এটি ছয় জেলার চেয়েও বেশি। এসে আপনারা (বিএনপি) দেখে যান।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন, আবদুল কাদের খান, দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার প্রমুখ।