০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

এস আলমের ব্যাংকে ১১’শ কোটি টাকা রেখে বিপাকে চট্টগ্রাম বন্দর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৮৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের লুটেরা সিন্ডিকেটের হোতা এস আলম গ্রুপের মালিকানাধিন চারটি ব্যাংকসহ মোট পাঁচটি ব্যাংকে ১১’শ কোটি টাকা আমানত রেখে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দফায়-দফায় জমা টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েও আমানত ফেরত পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিপুল পরিমান অর্থ পুনরায় বিনিয়োগও করতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ । বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে তারা। তবে সমস্যার দ্রুত কোন সমাধান দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা।

গত কয়েক বছর ধরেই সীমাহীন লুটপাট চলছে ব্যাংকিং খাতে। রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লুটেরা সিন্ডিকেটের কবলে পড়া ব্যাংকগুলো যে বহু আগেই ফোকলা হয়ে গেছে তা স্পষ্ট হয়েছে সরকার পতনের পর। ফুটেজ-১ যার প্রথম ভুক্তোভোগী দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর। ফুটেজ-২

পতিত সরকারের ব্যাংকিংখাতের মাফিয়া এস আলম জিএফএক্স-১ গ্রুপের ব্যাংগুলোতে এফডিআর হিসেবে বিপুল পরিমান টাকা জমা রাখতে বাধ্য করা হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে। সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আমানত সুরক্ষিত এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ক্রয় স্বাভাবিক রাখতে এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে গচ্ছিত টাকা নগদায়নের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। এর আগে পদ্মা ব্যাংক থেকেও আমানত নগদায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করে এখনও সফল হতে পারেনি বন্দর।

এই অবস্থায় আমানত ফিরে পেতে অপেক্ষা করা ছাড়া বন্দরের হাতে আপাতত কোন উপায় নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন একক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আলাদা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

মূলত জাহাজ ভেড়ানো, পণ্য ওঠানামা, ইয়ার্ড ভাড়া এবং নিজস্ব জমির ভাড়াসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি বছর এ অর্থ আয় করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই তহবিল থেকেই বন্দরের চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি, জনবল ও পরিচালন ব্যয়ও নির্বাহ করা হয়। ফুটেজ-৩

সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এসএটিভি চট্টগ্রাম।

গ্রাফিক্স:
……………………।……………………………
ব্যাংকের নাম । বিনিয়োগের পরিমাণ
……………………। ……………………………
পদ্মা ব্যাংক । ১৭৯ কোটি টাকা
…………………….।…………………………..
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ১১৫ কোটি টাকা
………………………।…………………………
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ।ব্যাংক ১৮৯ কোটি টাকা
……………………….।………………………..
ইউনিয়ন ব্যাংক । ৪১০ কোটি টাকা
……………………….।………………………..
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক । ২১২ কোটি টাকা

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এস আলমের ব্যাংকে ১১’শ কোটি টাকা রেখে বিপাকে চট্টগ্রাম বন্দর

আপডেট সময় : ১০:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের লুটেরা সিন্ডিকেটের হোতা এস আলম গ্রুপের মালিকানাধিন চারটি ব্যাংকসহ মোট পাঁচটি ব্যাংকে ১১’শ কোটি টাকা আমানত রেখে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দফায়-দফায় জমা টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েও আমানত ফেরত পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিপুল পরিমান অর্থ পুনরায় বিনিয়োগও করতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ । বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে তারা। তবে সমস্যার দ্রুত কোন সমাধান দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা।

গত কয়েক বছর ধরেই সীমাহীন লুটপাট চলছে ব্যাংকিং খাতে। রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লুটেরা সিন্ডিকেটের কবলে পড়া ব্যাংকগুলো যে বহু আগেই ফোকলা হয়ে গেছে তা স্পষ্ট হয়েছে সরকার পতনের পর। ফুটেজ-১ যার প্রথম ভুক্তোভোগী দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর। ফুটেজ-২

পতিত সরকারের ব্যাংকিংখাতের মাফিয়া এস আলম জিএফএক্স-১ গ্রুপের ব্যাংগুলোতে এফডিআর হিসেবে বিপুল পরিমান টাকা জমা রাখতে বাধ্য করা হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে। সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আমানত সুরক্ষিত এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ক্রয় স্বাভাবিক রাখতে এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে গচ্ছিত টাকা নগদায়নের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। এর আগে পদ্মা ব্যাংক থেকেও আমানত নগদায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করে এখনও সফল হতে পারেনি বন্দর।

এই অবস্থায় আমানত ফিরে পেতে অপেক্ষা করা ছাড়া বন্দরের হাতে আপাতত কোন উপায় নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন একক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আলাদা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

মূলত জাহাজ ভেড়ানো, পণ্য ওঠানামা, ইয়ার্ড ভাড়া এবং নিজস্ব জমির ভাড়াসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি বছর এ অর্থ আয় করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই তহবিল থেকেই বন্দরের চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি, জনবল ও পরিচালন ব্যয়ও নির্বাহ করা হয়। ফুটেজ-৩

সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এসএটিভি চট্টগ্রাম।

গ্রাফিক্স:
……………………।……………………………
ব্যাংকের নাম । বিনিয়োগের পরিমাণ
……………………। ……………………………
পদ্মা ব্যাংক । ১৭৯ কোটি টাকা
…………………….।…………………………..
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ১১৫ কোটি টাকা
………………………।…………………………
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ।ব্যাংক ১৮৯ কোটি টাকা
……………………….।………………………..
ইউনিয়ন ব্যাংক । ৪১০ কোটি টাকা
……………………….।………………………..
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক । ২১২ কোটি টাকা