ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বহিষ্কার হওয়া সাত সদস্যকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দুপুরে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক মামলার ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা ৭ বছর বলে গণ্য হবে। বহিস্কৃত পুলিশ সদস্যদের নৈতিক শিক্ষার প্রশিক্ষণের অভাব ছিলো বলে মন্তব্য করে আদালত। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মামলার বাদী আবদুল গফুরের ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এর পর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি গফুরের স্বজনরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির কর্মকর্তাকে জানান। পরে চৌকির সেনাসদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।