করোনাকালে নীলফামারীতে বাল্যবিয়ে বেড়েছে দ্বিগুণ
- আপডেট সময় : ০৬:০৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনাকালে নীলফামারীতে বাল্যবিয়ে বেড়েছে দ্বিগুণ। এর প্রধান কারণ দারিদ্র্য। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাও আরেকটি বড় কারণ বলে মনে করছে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিয়োজিত সংগঠনগুলো। তবে, এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে।
গত একবছরে নীলফামারীতে বাল্যবিয়ের হার বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বিশেষ করে গ্রামে এর প্রবনতা বেশি। জেলার টুপামারি ইউনিয়নের মেয়ে আখি। ১৩ বছরের এই কিশোরীর বিয়ে হয়েছে কয়েক মাস আগে।
জেলায় বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে আরেক কিশোরী লাইলী। সে জানায়, শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে তার। লাঞ্চনার শিকারও হতে হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে।
করোনাকালে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ এবং রোজগার কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান, অভিভাবকরা।
জলঢাকার চাঁদমনি অনাথ আশ্রমে এলাকার ৬০ সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর পড়াশুনা করে।এর প্রতিষ্ঠাতা পিজিরুল আলম দুলাল জানান, দারিদ্র্যতাই বাল্যবিয়ের মূল কারন।
বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীরা অপরিণত শরীরে গর্ভধারনসহ নানা জটিলতায় পড়ে বলে জানান, চিকিৎসকরা।
বাল্যবিয়ে রোধে তারা তৎপর রয়েছে বলে দাবি করে স্থানীয় প্রশাসন।
২০২০ সালের মার্চ থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ছ’মাসে জেলায় বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে অন্তত: ৬৮ জন। যদিও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই।