০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

করোনার প্রভাব কমলেও এখনো ঘুরে দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার প্রভাব কমলেও এখনো ঘুরে দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানী লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও অর্জন করতে পারেনি শিল্পটি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিপরীতে অভ্যন্তরিণ চাহিদা কমে যাওয়া ছাড়াও বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি জাহাজ মালিকরা। বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া শিল্পটির অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করেন শিল্প উদ্যোক্তারা। আর বিএসবিআরএ বলছে, পর্যাপ্ত জাহাজ আমদানী না হলে এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত হানবে।

করোনার ভিতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে শিল্প কলকারখানাগুলো। কিন্তু বিপরীত চিত্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্বের যোগান আসা জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের। স্ক্র্যাপ জাহাজের সংকটে পড়ে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ইয়ার্ডই এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

সাগরে চলাচলের নির্দিষ্ট বয়সসীমা পেরনোর পর স্ক্র্যাপ ঘোষণা করা জাহাজগুলোর বড় একটি অংশেরই গন্তব্য হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকায়। নির্ধারিত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিচিং করে আকাশপথে ফিরে যান জাহাজের নাবিকসহ প্রিন্সিপাল কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। কিন্তু করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পুর্ণাঙ্গভাবে এখনো চালু না হওয়ায় বাংলাদেশে জাহাজ বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না জাহাজ মালিকরা। ফুটেজ-১ ও ২

এই খাতের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, সরকার ও এনবিআরের পর্যাপ্ত সহযোগীতা না পাওয়ায় আরো ঘনিভুত হয়েছে চলমান সংকট।  দেশে গড়ে ওঠা ৫ শতাধিক রি-রোলিং মিলসহ অন্তত ২৫ টি ছোট-বড় শিল্প কারখানার প্রধান কাঁচামালের যোগান আসে এই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে। জাহাজের আমদানী কমে আসায় ওইসব প্রতিষ্ঠানও আমদানী নির্ভর হয়ে পড়ছে বলে দাবি বিএসবিআরএ’র। আর উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার সহযোগী হলে ফের ঘুরে দাড়াবে শিপ ব্রেকিং শিল্পসংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বের ৯৫ শতাংশের বেশী স্ক্র্যাপ জাহাজ ভাঙ্গা হয় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে। এতদিন এই তালিকার শীর্ষে ছিলো বাংলাদেশ, দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত আর তৃতীয় ছিলো পকিস্তান। কিন্তু গেল ৬ মাসের পরিসংখ্যন বলছে সবচেয়ে বেশি জাহাজ কিনেছে পাকিস্তান এরপর ভারত আর বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনার প্রভাব কমলেও এখনো ঘুরে দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প

আপডেট সময় : ০২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনার প্রভাব কমলেও এখনো ঘুরে দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানী লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও অর্জন করতে পারেনি শিল্পটি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিপরীতে অভ্যন্তরিণ চাহিদা কমে যাওয়া ছাড়াও বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি জাহাজ মালিকরা। বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া শিল্পটির অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করেন শিল্প উদ্যোক্তারা। আর বিএসবিআরএ বলছে, পর্যাপ্ত জাহাজ আমদানী না হলে এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত হানবে।

করোনার ভিতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে শিল্প কলকারখানাগুলো। কিন্তু বিপরীত চিত্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্বের যোগান আসা জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের। স্ক্র্যাপ জাহাজের সংকটে পড়ে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ইয়ার্ডই এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

সাগরে চলাচলের নির্দিষ্ট বয়সসীমা পেরনোর পর স্ক্র্যাপ ঘোষণা করা জাহাজগুলোর বড় একটি অংশেরই গন্তব্য হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকায়। নির্ধারিত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিচিং করে আকাশপথে ফিরে যান জাহাজের নাবিকসহ প্রিন্সিপাল কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। কিন্তু করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পুর্ণাঙ্গভাবে এখনো চালু না হওয়ায় বাংলাদেশে জাহাজ বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না জাহাজ মালিকরা। ফুটেজ-১ ও ২

এই খাতের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, সরকার ও এনবিআরের পর্যাপ্ত সহযোগীতা না পাওয়ায় আরো ঘনিভুত হয়েছে চলমান সংকট।  দেশে গড়ে ওঠা ৫ শতাধিক রি-রোলিং মিলসহ অন্তত ২৫ টি ছোট-বড় শিল্প কারখানার প্রধান কাঁচামালের যোগান আসে এই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে। জাহাজের আমদানী কমে আসায় ওইসব প্রতিষ্ঠানও আমদানী নির্ভর হয়ে পড়ছে বলে দাবি বিএসবিআরএ’র। আর উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার সহযোগী হলে ফের ঘুরে দাড়াবে শিপ ব্রেকিং শিল্পসংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বের ৯৫ শতাংশের বেশী স্ক্র্যাপ জাহাজ ভাঙ্গা হয় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে। এতদিন এই তালিকার শীর্ষে ছিলো বাংলাদেশ, দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত আর তৃতীয় ছিলো পকিস্তান। কিন্তু গেল ৬ মাসের পরিসংখ্যন বলছে সবচেয়ে বেশি জাহাজ কিনেছে পাকিস্তান এরপর ভারত আর বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।