করোনায় বিদেশি অতিথি না আসায় আর্ন্তজাতিক হোটেল ব্যবসায় ধস
- আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
করোনার কারণে বিদেশি অতিথিরা না আসায়, আর্ন্তজাতিক তারকা হোটেলগুলোর ব্যবসায় ধস নেমেছে। অতিথিশূন্য হয়ে পড়ায় অনেক হোটেলই এখন বন্ধ। উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্যক্তি উদ্যোগে বিনিয়োগকৃত টাকায় লাভতো দুরে থাক, ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকা উল্টো লোকসান গুণতে হয়েছে। তাই প্রনোদনা নয়, বরং সরকারের কাছে বিনা সুদে ৫/১০ বছরের জন্য ঋণ সুবিধা চেয়েছেন তারা। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশননের সভাপতি বলছেন, এই শিল্পকে বাচাতে এখনই ৩ হাজার কোটি টাকার অনুদান দেয়া না হলে, কয়েক লাখ দক্ষ কর্মী চাকুরী হারাতে পারেন।
সারাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ পর্যটন খাতে দেশী বিদেশী অতিথিদের সেবা দিতে, রংপুরের পর পুন্যভূমি সিলেটে চালু হয়েছে পাঁচ তারকা চেইন হোটেল, গ্রান্ড প্যালেস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।
করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনে দেশি বিদেশি কোনো অতিথি না থাকায়, বন্ধ এখন গ্রান্ড প্যালেস। দেশের ৪৪টি তারকা হোটেলের মধ্যে সীমিত পরিসরে ৪/৫ টি খোলা থাকলেও বাকি সবই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যারা খোলা রাখছেন, তাদেরও প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা লোকসান।
এই বাস্তবতায় সামনে চরম অনিশ্চয়তা দেখছেন সেবা খাতের প্রশিক্ষিতি দক্ষ কর্মীরা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, হোটেল বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মেইনটেনেন্স খরচ থেকে শুরু করে, অন্য ইউটিলিটি চার্জতো বন্ধ নেই। তাই ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ ও শঙ্কা।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে, বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋনই পারে, জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন-বিহার প্রেসিডেন্ট জানান, উদ্যোক্তাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা অনুদান চাওয়া হয়েছে।
করোনার কারণে, ফেব্রুয়ারি থেকেই অতিথি কমতে থাকায়, ৭০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান, আগ্রাবাদ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম হাকিম আলী।