করোনা ঝুঁকিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০
- / ১৫৬৯ বার পড়া হয়েছে
করোনায় সবচে’ বেশি ঝুঁকিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা। স্বচ্ছল পরিবারের শিশুরা পুষ্টির জন্য নানা পরিপূরক খাবার পায়। আর প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত নিম্নবিত্ত ঘরের শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু মধ্যবিত্ত ঘরের শিশুরাই পড়েছে বেশি সংকটে। পুষ্টি ঘাটতির কারণে মধ্যবিত্ত শিশুদেরই আক্রান্তের হার বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে আবদ্ধ থাকায় শিশুদের মানসিকতায়ও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
রাজশাহী নগরীর ষষ্টীতলা এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি কলেজের শিক্ষক আল আমিন। করোনায় ছেলের স্কুল, প্রাইভেট এমন কী বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরিও বন্ধ। এখন লকডাউন শিথিলতার সুযোগে প্রায় তিন মাস পর এই প্রথম ছেলেকে নিয়ে বেরিয়েছেন বাইরের চেনাজানা সেই পরিবেশ দেখাতে।
করোনায় হারিয়েছে শিশুদের দুরন্তপনা। খেলাধুলাও আটকে গেছে চার দেয়ালের মাঝে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের এ অবস্থা, তাই বলে কোলে কিংবা বিছানায় শুয়ে-বসে দিন কাটাচ্ছে না বাচ্চারা। তাদের চোখ আটকে আছে স্মার্ট ফোন কিংবা টিভি পর্দায়। সারাটা দিন আসক্তি নিয়ে দেখছে ভিডিও গেম কিংবা কার্টুন। কখনো-বা জড়াচ্ছে দুষ্টুমীতে। খিটমিটে হচ্ছে মেজাজও।
তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ঘরে থাকায় শিশুদের মানসিক বিকাশ মারাত্মভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে বড় হলেও।
এদিকে আইডিসিআরের তথ্য বলছে, দেশে মোট করোনা সংক্রমণের ১০ শতাংশই শিশু। এর মধ্যে নবজাতক থেকে ১০ বছর বয়সী সংক্রমিত হয়েছে এক হাজার দুশোর বেশি শিশু। তবে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী আক্রান্তই বেশি, যা তিন হাজার। আর মারা গেছে অন্তত ১১জন।
কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, সংক্রমিত শিশুদের মধ্যে অনেকেরই কোনো ধরনের উপসর্গ প্রকাশিত হয়নি। তাই শিশুদের বাজারে যাওয়া বা হাওয়া খেতে না বেরুনোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।