করোনা থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তির জন্য গীর্জায় গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৬২৩ বার পড়া হয়েছে
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’পালিত হচ্ছে। এই শুভ দিনে বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম নিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করেন যীশু। দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা আয়োজনে বিশ্বশান্তি ও মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয়।
রাঙ্গামাটির পাহাড়ে খ্রীস্টান পল্লীগুলো উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে। গীর্জাগুলো সেজেছে নতুন সাজে। করোনার কারণে গত দু’বছর সীমিত পরিসরে হলেও, এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বড়দিন উদযাপন করছে ভক্তরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাবনায় পালিত হয় ‘বড়দিন’। আলোকসজ্জা করা হয়েছে জেলার সব গীর্জায়। খ্রীস্টান বাড়িগুলোতে ক্রিসমার্স ট্রি সাজানো, গোশালা তৈরি, পিঠা বানানোসহ নানা আয়োজনে ছিল।
কুড়িগ্রামে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয় বড়দিন। শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম রিভার ভিউ স্কুল মোড়ে ঈসায়ী ফেলোশিপ চার্চে কেককাটার মধ্যদিয়ে দিবসের সুচনা করা হয়।
মেহেরপুরে গতকাল রাতে খ্রীস্টযোগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার সকাল ৮ টায় মহান প্রভুর ভোজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গীর্জায় গীর্জায় প্রার্থনা। মুজিবনগর বল্লভপুর মাঠে বসছে সাত দিনব্যাপী মেলা। এছাড়াও রয়েছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
জামালপুর শহরের কলেজ রোডে হলি ব্যাপ্টিষ্ট চার্চে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বাইবেল পাঠ ও কেক কেটে বড়দিন পালন করে। পরে, দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করে ভক্তরা।
গাইবান্ধার শহরের খাঁ-পাড়ায় আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস চার্চের আয়োজনে বড়দিন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা, মিষ্টি বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় ব্যাপটিস্ট চার্চে প্রধান সমাবেশে প্রার্থনা ও ধর্মীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। জেলায় এ বছর ৮টি গীর্জায় বড়দিন পালন করা হয়েছে।
এছাড়াও শেরপুর, মানিকগঞ্জ, সাভার ও নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে।