করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন সার্কের প্রধানরা

- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড নাইন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন দক্ষিন এশীয় জাতি-রাষ্ট্রীয় সংস্থা সার্কের প্রধানরা। আতংকিত না হয়ে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতামূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামষ্টিক ভাবে সম্পদ, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে এই মহামারী প্রতিরোধে। সার্কভুক্ত দেশের প্রধানদের মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং এ আলোচনায় ঐক্যমতে পৌঁছান সার্কভুক্ত দেশের সরকার প্রধানরা।
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ও শংকার নাম কোভিড নাইনটিন বা করোনা ভাইরাস। এরইমধ্যে বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেক দেশ জারি করেছে জরুরী অবস্থা।
এ অবস্থা মোকাবেলায় সামষ্টিক প্রচেষ্টায় সামিল হতে বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সাউথ এশিয়ান এসোশিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন, সার্কের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং আফগানিস্তানের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে গণভবন থেকে যুক্ত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা বলেন, এ জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্ততি নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বৈশ্বিক এ বিপদ ঠেকাতে ও পরবর্তী প্রভাব কাটাতে একসাথে কাজ করার বিকল্প নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবেলায় আতংকিত না হয়ে, সচেতনতামূলক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী চালিয়ে যেতে হবে।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধান আশংকা প্রকাশ করেন, তাঁর দেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা কমছে। যা অর্থনীতির ওপর আরো বড় আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি নেপালের প্রধানমন্ত্রী জানান সব ধরনের পর্বত আরোহনে নিষেধাজ্ঞার কথা।
করোনা প্রতিরোধে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স গঠনের কথা উল্লেখ করে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট বলেন, কোয়ারান্টায়িনে অবস্থানরতদের উপর নজরে রাখছে তার প্রশাসন।
( আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, খেলাধুলাসহ সব ধরনের গ্যাদারিং বন্ধ করা হয়েছে। স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সব দেশের সঙ্গে অন এরাইভাল ভিসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে)
কমন ফ্রেমওয়ার্ক করার আহ্বান আফগানিস্তানের । আর শুধু এই ভাইরাস নয় এর কারনে পরে অর্থনীতির ওপর আসা আঘাত মোকাবেলায় পারস্পারিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী।
( আমাদের এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিপদেও একে অন্যের সহযোগিতা ও পাশে থাকা প্রয়োজন। )
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরিবর্তে বক্তব্য রাখেন সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সার্ক সেক্রেটারিয়াটে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সার্ক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।