কর্ণফুলীর দু’পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গড়িমসি, বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব

- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
কর্ণফুলী নদীর দু’পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গড়িমসি করায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করেছে উচ্চ আদালত। বন্দর চেয়ারম্যানের দাবি, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আর নদী রক্ষায় আন্দোলনকারীরা বলছেন, বরাবরের মতো এবারো মিথ্যাচারের আশ্রয় নিলে, বন্দর ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে। আর পরিবেশবিদরা বলছেন, জাতীয় স্বার্থেই রক্ষা করতে হবে কর্ণফুলীকে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গেল বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী কর্ণফূলী নদীর পার থেকে এভাবেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু ৫ দিনের মাথায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় নদী বাচানোর এই উদ্যোগে। বন্দরের কাধে দায় চাপিয়ে পার পায় জেলা প্রশাসন।
এরপর অন্তত ৪ দফায় নির্দেশনা দিয়েও বন্দরকে উচ্ছেদে নামাতে পারেনি আদালত। এজন্য উচ্ছেদ অভিযানের অগ্রগতি জানতে বন্দর চেয়ারম্যানকে তলব করেছে উচ্চ আদালত।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে প্রথম দফায় অভিযান চালায় তারা। দ্বিতীয় দফা অভিযানের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।
কর্ণফূলী রক্ষার পরিবেশ কর্মীদের আশংকা, এবারো আদালতকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করবেন বন্দর চেয়ারম্যান। তেমনটি হলে আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
কর্ণফূলী গবেষকরা বলছেন, জতীয় স্বার্থেই কর্ণফূলীকে রক্ষা করতে হবে।
কর্ণফূলী রক্ষার আবেদন নিয়ে ২০১০ সালে প্রথম আদালতে যান পরিবেশকর্মীরা। ৬টি সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ দুই হাজার ১৮৭ জনকে দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে তা উচ্ছেদ করার রায় এসেছে ২০১৬ সালে। কিন্তু সেই রায় বাস্তবায়ন হয়নি আজও।