০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কর্ণাটকে পরিবারের নারী প্রধানকে দুই হাজার টাকা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৮২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কর্ণাটকে চালু হলো রাজ্যের ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে দামি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। প্রতি মাসে পরিবারের প্রধান মেয়েরা পাবেন দুই হাজার টাকা।

ক্ষমতায় আসার একশ দিন পূর্তিতে প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বুধবার মাইসুরুতে শুরু হলো  গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প। পরিবারের নারী প্রধানরা প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা পাবেন। ভোটের সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে দ্রুত এই প্রকল্প চালু হবে। কথা রেখেছে কংগ্রেস। খাড়গে ও রাহুলের উপস্থিতিতে এই প্রকল্প চালু করা হলো।

বুধবারের মধ্যেই এক কোটি আট হাজার নারী-প্রধানের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ পৌঁছে গেছে। বাকিদের অ্য়াকাউন্টে বৃহস্পতিবার এই টাকা ঢুকে যাবে।  যে সব নারীরা জিএসটি বা আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন না, তারা প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে পাবেন।

পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছেন। সেখানে রাজ্য়ের মেয়েদের প্রতি মাসে পাঁচশ টাকা করে দেয়া হয়। কর্ণাটকে দেয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা করে।

মাইসুরুতে এই প্রকল্পের প্রতীকী উদ্বোধন হয়। দশজনের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢোকে। রাহুল গান্ধী বলেন, ”গোটা কর্ণাটক থেকে মেয়েরা এখানে এসেছেন। আমি তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।”

নারীরা এই প্রকল্প শুরু হওয়ায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এক নারী জানিয়েছেন, ”আমি খুবই খুশি। আমি আমার মেয়ের স্কুলের ফি দিতে পারব।”

আরেক নারীর বক্তব্য, ”নিজেকে স্বাধীন বলে মনে হচ্ছে। আমার ওষুধের জন্য ছেলের কাছে হাত পাততে হবে না।”

কর্ণাটকের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী লক্ষ্মী হেব্বালকর বলেছেন, আধার কার্ড ও রেশন কার্ড চেক করে দেখা হয়েছে, ওই নারীরা আয়কর বা জিএসটি দেন না। তারপর কুটুম্বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখা হয়েছে,  এর মধ্যে কোনো জালিয়াতি যাতে না হয়। একই বাড়ি থেকে দুই নারী যেন এই টাকা না পান।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, যারা মারা গেছেন তাদের রেশন কার্ডও নিয়ে নেয়া হয়েছে।

কংগ্রেস নেতারা মনে করেন, কর্ণাটকে তারা প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। যারা এই অর্থ পাবেন, তারা লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভোট দেবেন বলে তারা মনে করছেন।

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কর্ণাটকে পরিবারের নারী প্রধানকে দুই হাজার টাকা

আপডেট সময় : ১১:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

কর্ণাটকে চালু হলো রাজ্যের ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে দামি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। প্রতি মাসে পরিবারের প্রধান মেয়েরা পাবেন দুই হাজার টাকা।

ক্ষমতায় আসার একশ দিন পূর্তিতে প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বুধবার মাইসুরুতে শুরু হলো  গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প। পরিবারের নারী প্রধানরা প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা পাবেন। ভোটের সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে দ্রুত এই প্রকল্প চালু হবে। কথা রেখেছে কংগ্রেস। খাড়গে ও রাহুলের উপস্থিতিতে এই প্রকল্প চালু করা হলো।

বুধবারের মধ্যেই এক কোটি আট হাজার নারী-প্রধানের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ পৌঁছে গেছে। বাকিদের অ্য়াকাউন্টে বৃহস্পতিবার এই টাকা ঢুকে যাবে।  যে সব নারীরা জিএসটি বা আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন না, তারা প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে পাবেন।

পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছেন। সেখানে রাজ্য়ের মেয়েদের প্রতি মাসে পাঁচশ টাকা করে দেয়া হয়। কর্ণাটকে দেয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা করে।

মাইসুরুতে এই প্রকল্পের প্রতীকী উদ্বোধন হয়। দশজনের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢোকে। রাহুল গান্ধী বলেন, ”গোটা কর্ণাটক থেকে মেয়েরা এখানে এসেছেন। আমি তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।”

নারীরা এই প্রকল্প শুরু হওয়ায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এক নারী জানিয়েছেন, ”আমি খুবই খুশি। আমি আমার মেয়ের স্কুলের ফি দিতে পারব।”

আরেক নারীর বক্তব্য, ”নিজেকে স্বাধীন বলে মনে হচ্ছে। আমার ওষুধের জন্য ছেলের কাছে হাত পাততে হবে না।”

কর্ণাটকের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী লক্ষ্মী হেব্বালকর বলেছেন, আধার কার্ড ও রেশন কার্ড চেক করে দেখা হয়েছে, ওই নারীরা আয়কর বা জিএসটি দেন না। তারপর কুটুম্বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখা হয়েছে,  এর মধ্যে কোনো জালিয়াতি যাতে না হয়। একই বাড়ি থেকে দুই নারী যেন এই টাকা না পান।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, যারা মারা গেছেন তাদের রেশন কার্ডও নিয়ে নেয়া হয়েছে।

কংগ্রেস নেতারা মনে করেন, কর্ণাটকে তারা প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। যারা এই অর্থ পাবেন, তারা লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভোট দেবেন বলে তারা মনে করছেন।

ডয়চে ভেলে