কিয়েভসহ চার শহরে সাময়িক অস্ত্র বিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সময় দিতে কিয়েভসহ চার শহরে সাময়িক অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের ইতি টানতে আজ বেলারুশে তৃতীয় দফা বৈঠকে বসতে যাচ্ছে দু’দেশের প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে, ইউক্রেনে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের জন্য রুশ সেনাবহরকে চূড়ান্ত শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সামরিক অভিযানের ১২তম দিনে ইউক্রেনে হামলার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রুশ সেনাবহর। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জড়ো করে কিয়েভের পাশের শহর ইরপিনের দিকে এগুচ্ছে রুশ বাহিনী।
তবে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশ সময় ১টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যেতে কিয়েভসহ ৫টি শহরের জন্য এ সিদ্ধান্ত।
এদিকে যুদ্ধের ইতি টানতে বেলারুশ সীমান্তে তৃতীয় দফা বৈঠকে বসবে দুদেশের প্রতিনিধি দল। নিশ্চিত করেছেন কিয়েভ সরকারের মুখপাত্র মিখাইল পোডোলাক। উভয়পক্ষ নিজ অবস্থানে অনঢ় থাকায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা কঠিন হয়ে পড়ছে, এমনটা মনে করছেন বিশ্লেষকরা
হামলা প্রসঙ্গে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারো হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়াকে চূড়ান্ত শাস্তি পেতে হবে।
পুতিন প্রশাসনকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এসময় এরদোয়ান পুতিন জানান, রুশ দাবি মেনে নিলেই ইউক্রেনে হামলা বন্ধ হবে।
রাশিয়াকে কোণঠাসা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকা দখলে নিলেও লড়াই চালিয়ে যেতে প্রবাসে ইউক্রেন সরকার গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে। ইউক্রেনকে আরও ১০ কোটি ডলারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
১০ দিনে ইউক্রেন থেকে ১৫ লাখের বেশি শরণার্থী প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রবেশ করেছে। রোববার এক টুইটার পোস্টে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এ তথ্য জানান। বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি ইউরোপে দ্রুততম বর্ধনশীল শরণার্থী সংকট।