কুমিল্লার খামারিরা ব্যস্ত গরু মোটাতাজাকরণে
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / ১৭০০ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত কুমিল্লার খামারীরা। চাহিদার তুলনায় জেলায় পশুর সংখ্যা এবার বেশি বলে জানিয়েছে, জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। চলতি বছর কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৭৮ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ অনুপাতে দাম না পাওয়ার শংকায় খামারীরা। তবে ভারতীয় গরু আনা না হলে লোকসান পুষিয়ে ওঠার প্রত্যাশা তাদের।
কুমিল্লায় সুঠামদেহী স্বাস্থ্যবান গরু দেখতে ভীড় বাড়ছে প্রতিদিন । খামারীরা এখন গরুর মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত। এরই মধ্যে বিভিন্ন খামার মাতাচ্ছে– কুমিল্লার কিং, কালো মানিক, সম্রাট , লাল বাদশা , রাজা, জমিদারসহ আকর্ষণীয় বাহারি নামের গরু। ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মূল্যের গরু রয়েছে ওইসব খামারে।
খামারীরা বলছেন, দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, ঘাস, দানাদার খাবারে গরু মোটাতাজা করছেন তারা।
শুধুমাত্র দেশের প্রান্তিক খামারীই নয়, এবার প্রবাসীরাও গরু পালন করছেন। সৌদি আরব প্রবাসী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ভাটারা গ্রামের বাসিন্দা হানিফ দেশীয় জাতের ‘কুমিল্লার বস’ নামের গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ১৬ লাখ টাকা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে কোরবানির ঈদে কেন্দ্র করে ৩০ হাজার খামারে বিভিন্ন জাতের প্রায় ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৮টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই কুমিল্লায় জমতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট।
এদিকে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা, মিরপুরের হালসা, পোড়াদহসহ জেলায় প্রায় ২ শতাধিক খামারে দেশী জাতের গরুর পাশাপাশি ফিজিয়ান, ব্রাহাম জাতের বিদেশি গরু লালন-পালন করছেন খামারীরা।
গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে গরুর ভাল দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত খামারীরা।
কোরবানির জন্য এ বছর জেলায় ১ লাখ ৭৮ হাজার গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া প্রস্তুত বলে জানান পশু সম্পদ বিভাগের এ কর্মকর্তা।